জাহাজীকরণ সম্পন্ন হওয়া তৈরি পোশাকের বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করলে যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ উলেন মিলস (ইডব্লিউএম) গ্রুপকে কালো তালিকাভুক্ত করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন- বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
ইডব্লিউএম গ্রুপের পিকক, কান্ট্রি ক্যাজুয়াল, অস্টিন রেডসহ পোশাকের বেশ কিছু ব্র্যান্ড রয়েছে। তাদের বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪০০।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে ইডব্লিউএম বাংলাদেশের রিভার সাইড সোয়েটার, স্কাইলাইন অ্যাপারেলস, সাউর্দান ডিজাইনারস লিমিটেডসহ কয়েকটি কারখানার ১১ লাখ ৯৫ হাজার পিস পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়া পোশাকের রপ্তানি মূল্য ৮২ লাখ ডলারের বেশি।
বাংলাদেশী পোশাক মালিকদের দুই সংগঠনের পক্ষে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক ইডব্লিউএমের প্রধান নির্বাহী ফিলিপ অ্যাডওয়ার্ড ডেকে বৃহস্পতিবার ই-মেইল করেন। এতে তিনি লিখেছেন, ২৫ মার্চ পর্যন্ত ইডব্লিউএম ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ক্রয়াদেশের বিপরীতে যেসব পণ্য তাদের মনোনীত ফ্রেইড ফরোয়ার্ডের মাধ্যমে জাহাজীকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে তার অর্থ ২৯ মের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। তা ছাড়া ইতিমধ্যে যেসব ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ৫ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে। বিষয়গুলো সুরাহা না হলে ইডব্লিউএমের কোনো নতুন ক্রয়াদেশের জন্য শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির সনদ ইউটিলাইজেন ডিক্লারেশন বা ইউপি ইস্যু করবে না বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
ইডব্লিউএমকে বকেয়া অর্থ পরিশোধ ও নির্দেশনাগুলো মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে রুবানা হক ই-মেইলে লিখেন, নির্দেশনা অনুসরণ না করলে ইডব্লিউএম ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা ছাড়া বিকল্প উপায় থাকবে না। সেটি হলে ভবিষ্যতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্যদের সঙ্গে ইডব্লিউএম ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে।
এই চিঠির অনুলিপি লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিট্রিশ হাইকমিশনসহ সব ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডদের পাঠানো হবে বলে জানান রুবানা হক।
সূত্র: অ্যাপারেল ইনসাইডার