দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে আশা করি জনগণ আমাদের ভোট দেবে। কারণ একটা দেশকে আমরা বদলে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। জনগণের ওপর আমাদের সে আস্থা আছে।
সরকার প্রধান বলেন, করোনা সংকটে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আমরা স্থিতিশীল রেখেছি। বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৯১ ডলার। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আজ আমরা ক্ষমতায় বলে মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক, আমার বাড়ি আমার খামার ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সব সুযোগ-সুবিধা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের পর শুরু হয় সভার মূল কার্যক্রম। সভায় দলের সভাপতিম-লীর সদস্যদের কাছ থেকে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম নেন দলীয় সভাপতি। এসব নাম নিয়ে সভায় আলোচনাও করেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানায়, সার্চ কমিটিতে নাম প্রস্তাব করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত সভাপতিম-লীর সদস্যরা প্রত্যেকে নিজ নিজ পছন্দের নাম প্রস্তাব করেন। তারা নিজেদের তালিকা দলীয় সভাপতির কাছে জমা দেন। এসব প্রস্তাবিত নাম থেকে বাছাই করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যদের নাম চূড়ান্ত করার দায়িত্ব সর্বসম্মতিক্রমে দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খায়রুজ্জামান লিটন ও কামরুল ইসলামসহ অন্যরা।