ঢাকা-২০ ধামরাই আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ এর আপন ভাই সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সোহরাব হোসেনের বাড়িতে দুর্র্ধষ ডাকাতি হয়েছে। গত বুধবার (২৩ ফ্রেরুয়ারী) দিনগত রাতে ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের বৈন্যা গ্রামে নিজ বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। রাতে মুখোশ পরিহিত ডাকাতরা বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার মোবাইল সেট, সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক লুট করে নিয়ে গেছে। পরে ওইসময় বাড়ি থেকে জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন দেয়ার পর ভোরে থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জানা গেছে, ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের বৈন্যাগ্রামে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ এর আপন মেজো ভাই সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেনের বাড়িতে মুখোশ ও হাফপ্যান্ট পরিহিত ৮ /১০ জনের একদল ডাকাত বাড়ির দুতলা ভবনে ঢুকে প্রথমেই সোহরাব হোসেন ও তার স্ত্রী রৌশনারা হোসেনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আলমারির চাবি ছিনিয়ে নেয়। তারপর অপর রুমে গিয়ে কেয়ার টেকার নজরুল ও রব্বানীকে বেধে ফেলে। পরে ডাকাতরা ৪ টি রুমের আলমারি, সুকেচ, ওয়ারড্রব খুলে কাপড়চোপড় বিছানা তছনছ করে লুটে নেয় প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় ৩ লাখ টাকা। এই বিষয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন ও তার স্ত্রী রৌশনারা হোসেন জানান রাত ৩ টার দিকে মুখোশধারী ডাকাতরা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে দরজার বাহির ঢেকে উঠায়। পরে আমাদেরকে চাপাতি লোহার রড ও চাকু দিয়ে জিম্মি করে চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ৪ টি রুমের সকল জিনিস পত্র খুলে স্বর্ণ ও নগদ টাকা সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে গেছে। পরে ৯৯৯ ফোন দেয়ার পর থানার ওসি আমার বাড়িতে পরিদর্শনে আসেন। তবে ডাকাতেরা কিভাবে ঘরে ঢুকেছে তা বলতে পারেনি। এই বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেনের স্ত্রী রৌশনারা বেগম বলেন, রাতে আমি ও আমার স্বামী রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। রাত তিনটার সময় ডাকাত দল ঘরে ডুকে আমার গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে আলমারির চাবি নিয়ে যায়। এর পর আমার স্বামীকে পিস্তল দিয়ে তার মাথায় ঠেকিয়ে রাখেন। সকাল ১২টার ঢাকা জেলার এসপি মারুফ হোসেন সরদার ও ডিবি পুলিশের ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এর আগে একই ইউনিয়নের ডালিপাড়া গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর উজ্জামানের বাড়িতে ও ডাকাতরা হানা দেয়।তবে নুরু উজ্জামানের বাড়ী লোকজন জেগে থাকার কারণে ঐ বাড়িতে থেকে ডাকাতেরা কিছুই নিতে পারেনি। এই বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে। অতি তারাতারি ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে।