শীতের আমেজ শেষ, পড়েছে ফাল্গুন মাস, চলছে ঋতুরাজ বসন্তকাল। চারিদিকে আপন শক্তিতে সেজেছে প্রকৃতি। গাছের পুরনো পাতা ঝেড়ে ফেলে নতুন পাতা গাজিয়ে বেড় হচ্ছে। বসন্তের আগমনে গাছে গাছে বিভিন্ন ফুল ফুটেছে। প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে অপরুপ সাজে সেজেছে দিনাজপুরের হিলি পানামা পোর্ট। ফুলে ফুলে ভরে গেছে পোর্ট কার্যালয়টি। যা দেখে মুগ্ধ হচ্ছে সবাই এবং ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশ। বুধবার (৯ মার্চ) সকালে হিলি পানামা পোর্টের কার্যালয় ঘুরে দেখা যায়, রঙবেরঙের হাজারও রকমের ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো পানামা পোর্টের কার্যালয়। সকালের মিষ্টি রোদ ফুল আর গাছের সাথে মিশে যেন আলোর ঝিলিক দিচ্ছে। দেশি-বিদেশি প্রায় হাজার ফুলের গাছ রয়েছে। মন কেড়েছে কাস্টমস কর্মকর্তা সহ কর্মচারী, পোর্ট কর্মকর্তা সহ কর্মচারী, পোর্টের কর্মরত লেবার-শ্রমিক সহ দেশি-বিদেশি ট্রাক চালকদের। কার্যালয়টি বিভিন্ন ফুলের গন্ধে মৌ মৌ করছে। ফুলের বাগানটি পরিচার্যের জন্য পোর্ট কর্তৃপক্ষ দুই জন মালি রেখেছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাগানের পরিচার্য করেন তারা। বাগানটিতে দেশি-বিদেশি গোলাপ ফুল, সুর্যমূখী, হলুদ গান্দা, পাতাবাহার সহ হাজার রকম ফুলের গাছ এবং ফুলের সমারোহ। পানামা পোর্টের দুইজন স্টাফ বলেন, পোর্টে ফুলের বাগান হওয়াতে পোর্টের চেহারায় পাল্টে গেছে। এই বন্দরে আমরা কাজ করে অনেক শান্তি পেয়ে থাকি। ফুলের গন্ধে এলাকা মৌ মৌ করছে। অফিসের পাশাপাশি সময় পেলেই এই বাগানে একটু দাঁড়ায়। সৌন্দর্য আর ফুলের গন্ধে নিজের মনটা নেচে উঠে। হিলি পানামা পোর্টের এ,টি,আই এস,এম জোবায়ের বলেন, হিলি বন্দরকে সাজাতে এবং আকর্ষণীয় করতে কর্তৃপক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। পোর্ট কে সাজাতে কর্তৃপক্ষ সহ আমরা কাজ করে যাচ্ছি। হিলি পানামা পোর্ট লিংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, পানামা পোর্ট তৈরির শুরু থেকেই পোর্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে পোর্ট পরিচালক কাজ করে আসছেন। পোর্ট কার্যালয়ের সামনে ফুলের বাগান তৈরি হয়েছে। এখানে বিভিন্ন গাছ ছিলো সেগুলো কেটে বাগান বানানো হয়েছে। এই বাগানে প্রায় ৫ হাজার বিভিন্ন ফুলের গাছ দেশি-বিদেশি জাতের গোলাপ ফুল, সুর্যমূখী, গাধা ফুলের গাছ সহ পাতাবাহারের গাছ রয়েছে। এগুলো পরিচার্যের জন্য দুই জন মালি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পানামা পোর্ট পরিচালক অনন্ত কুমার চক্রবর্তী একজন প্রকৃতি ও ফুল প্রেমি এবং সৌন্দর্য পিয়াসু মানুষ। হিলি বন্দরের সৌন্দর্য বাড়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে আসছেন। ভবিষ্যতে আরও বন্দরকে সাজাতে এবং সৌন্দর্য বাড়ার লক্ষ্যে কাজ করবেন।