রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

ঈমান-আকিদার হেফাজত, জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেয়া আলেমদের দায়িত্ব

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২

সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা বাবুনগর মক্কারবাড়ীস্থ মাদরাসা ইয়াছিন মক্কী আল্ কাছেমিয়্যাহ্ হেফজখানা এতিমখানা ও আল্লামা নুরুল হুদা (রহঃ) স্মৃতি সংসদের যৌথ উদ্যোগে ৫ম ইসলামী মহা সম্মেলন ১২ মার্চ ২০২২ শনিবার, স্থানীয় বাবুনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯ টায় মহাসম্মেলনের উদ্বোধন করেন মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া- লোহাগাড়া) আসনেন মাননীয় সংসদ সদস্য আল্লামা প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মাদ নেজামুদ্দিন নদভী। মহাসম্মেলন মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল জামেয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম এর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আবদুল হালিম বোখারী দা.বা, দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম এর মহাপরিচালক আল্লামা ইয়াহিয়্যাহ দা.বা, শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ আহমদ সাহেব। আমন্ত্রিত ওলামা মশায়েখ হলেন- আল্লামা মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী, আল্লামা শায়েখ আহমাদ উল্লাহ, আল্লামা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী কুয়াকাটা, আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামযা, আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন, আল্লামা মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মুফতি হাবিবুল ওয়াহেদ, মাওলানা হোসাইন আল মাহমুদ, মাওলানা হেলাল উদ্দিন, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মারুফ প্রমুখ। মহাসম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ আলেম আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজি, মাওলানা আবুল হাছন, হাফেজ মাওলানা খোবাইব বিন তৈয়ব, ড. আবুল আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিন। বিশাল মুসল্লীর উপস্থিতিতে মহাসম্মেলনে বক্তাগণ বলেন, নবীদের উত্তরসূরি হিসেবে কুরআন- সুন্নাহর আলোকে জাতিকে নির্দেশনা দেয়া আলেম সমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য। কল্যাণের প্রতি আহ্বান জানানো ও অকল্যাণের পরিণতি সম্পর্কে সজাগ করতে আলেমদের স্বয়ং আল্লাহ ও মহানবী (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষের ঈমান-আকিদার হেফাজত করা, মানুষকে পরকালমুখী করা, প্রচলিত শিরক-বিদআত ও কুসংস্কারসমূহ রদ করা এবং শরিয়তবিরোধী সব কর্মকা- প্রতিরোধে ভূমিকা পালনের শিক্ষার পাশাপাশি দেশপ্রেম এবং জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসার শিক্ষা দেয়া আলেমদের অন্যতম জিম্মাদারী। তাই কোনো অবস্থাতেই আলেম সমাজের পক্ষে এ দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাঁরা বলেন, ইসলামী চিন্তাধারার অনুসারীদের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে। একে অন্যকে অভিযুক্ত করার প্রবণতা পরিহার করে মতপার্থক্যের যে সব বিষয় রয়েছে সেগুলিকে সংলাপের মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি ও সংশোধন করা গেলে মুসলিম উম্মাহকে কার্যকর ঐক্যবদ্ধ ও স্বাতন্ত্র্যম-িত করে তোলা সম্ভব। বক্তাগণ বলেন, উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে সব মুসলিমকে একত্রিত করার দায়বদ্ধতাকে বিশেষভাবে উপলব্ধি করতে হবে। সংযমের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সাদৃশ্যের বন্ধনকে জোরদার করতে হবে এবং পরিত্যাগ করতে হবে শত্রুতা ও বিভাজনের প্রবণতা। একই সাথে চরমপন্থা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের সকল রূপ প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের সাথেও মুসলমানদের সর্বোত্তম পদ্ধতিতে সহযোগিতা করতে হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com