ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া বাজারের সামনে আজ ৪ এপ্রিল ভোরে আতিকুর রহমান সুমন(২৮) নামে এক ফার্নিচার ব্যাবসায়ীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আলেপুর গ্রামের মৃত আবু মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় আলেপুর তার নিজ গ্রামে চলছে শোকর মাতম। মা রহিমা খাতুন ছেলের কথা বলতেই বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন। বোন হাসনা বেগম ও তার মা রহিমা বেগম মৃত্যু শোকে পাথর হয়ে গেছেন। সুত্র জানায়- নিহত সুমনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঘাউড়া বাজারের মায়ের দোয়া ফার্ণিচার মার্ট নামীয় দোকান রয়েছে। সেখানে প্রায় ৮/৯ বছর যাবৎ ব্যাবসা করে আসছেন। সোমবার ভোরে সেহরি খেয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় কেউ তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে আজ রাত ৯টায় আলেপুর গ্রামে তার পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে। বয়োবৃদ্ধ মা রহিমা বেগম সাংবাদিকদের দেখে হাউ-মাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলেন- আমার ছেলে সেহরি খাবার ৫ মিনিট আগে কথা বলছে। খাবার পর আবার কথা বলবে বলেছিল। কিন্তুু সে আর কথা বলতে পারলো না। ফজরের নামাজ পড়তে বাহির হইছিল। নামাজ পড়তে পাড়ে নি। যে, “আমার কইলজাখান, খালি করছে, আমি তার ফাঁসি চাই। গতকাল সে বলেছিল তার ঘরে আগুন লাগানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সরেজমিন আলেপুর তার নিজ গ্রামের প্রতিবেশী আদর মিয়া, ছেরাগ মিয়া, মাওঃ জয়নাল উদ্দীন, মোঃ হিরা মিয়া, মোঃ রজাক মিয়া, মোঃ আলা উদ্দিন, মোঃ ওলিদ, মোঃ জাবেদ, জমিরুন বেগম, ওবায়দুর রহমান, আছিয়া বেগম, রুমা বেগম, শেফা বেগমসহ অন্যান্যরা জানান- নিহত ব্যাবসায়ী সুমন একজন ভালো লোক ছিলেন। সৎ ও আদর্শ হিসাবে তার ব্যাবসায় সু নাম রয়েছে। এ ঘটনা যে, বা যাহারা ঘটিয়েছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেন। তবে এ ঘটনায় ব্যাবসায়ীক কারণে তার কাছের কোন লোক জড়িত থাকতে পারে বলে সকলেই ইঙ্গিত প্রদান করেন।