রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দেশের ৩০টি কেন্দ্রে ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ২য় কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কলমাকান্দায় ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প জগন্নাথপুরে পলাতক আসামী গ্রেফতার-৫ চকরিয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী, সড়ক দুর্ঘটনা, সংঘর্ষ ও মসজিদের বাথ রুমে মুসল্লীর লাশ সহ ৪ খুন : খুনিসহ আটক ৩ মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নে বিএনপি’র কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী থাকায় সংবাদ সম্মেলন পাঁচবিবিতে ওলামা মাশায়েখ ও সুধী সমাবেশ ফটিকছড়িতে আকষ্মিক সফরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সদরপুরে এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন গলাচিপায় তারুণ্যে উৎসবে বিভিন্ন পর্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ আমাদের মূল সংগ্রাম একনায়কতন্ত্র উৎখাত করা : সাক্ষাৎকারে কেএনডিএফ নেতা

কর্মহীন দিন কাটছে হিলির মুচিদের

মোসলেম উদ্দিন, হিলি (দিনাজপুর) :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অসহায় গোটা বিশ্ব। সেইসাথে বাংলাদেশও এর বাহিরে নয়। দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। সীমিতাকারে খোলা রয়েছে দোকানপাট। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলছে সকল কার্যক্রম। করোনার আতঙ্কে মানুষ বাহিরে বের হচ্ছে কম। শহরের রাস্তা-ঘাট লোক শুন্য। একারণে বুটপালিশ আর পুরনো জুতা সেলাইয়ের কাজ পাচ্ছে না দিনাজপুরের হিলি শহরের মুচিরা।

হিলি স্থলবন্দরের বাজার-ঘাট রাস্তা ঘুরে দেখাগেছে বিভিন্ন স্থানে ছোট একটা বাক্স, চট বিছিয়ে বুটপালিশ আর জুতা সেলাইয়ের সরঞ্জাম সাজিয়ে বসে আছে মুচিরা। শহরে প্রায় ১৮ থেকে ২০ জন মুচির এই কর্ম করে চলায় তাদের সংসার।

কথা হয় হিলি চারমাথা মোড়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকা এই পেশার শ্রী লিটন রবিদাসের সাথে। সে বলেন, কি করে চলব দাদা কোন কাজ-কাম নাই, খালি (শুধু) বসে বসে সময় পার করছি। লোকজন তো হারাইছে। মানুষের এখন আর জুতা পুরাতনও হচ্ছে না, ছিড়েও যায় না। সকাল থেকে বসে আছি কেউ জুতা ঠিকঠাক করতে আসে না। বর্তমান সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন দিন ৫০ আবার কোন দিন ১০০ টাকা উপার্জন হচ্ছে। এই স্বল্প আয় দিয়ে কি আর সংসার চলে? বাড়িতে বাবা-মা ছোট ভাই-বোন আর আমার স্ত্রীসহ দুই সন্তান নিয়ে বড় কষ্টে দিনাপাত করছি।

হিলি বাজারের ফলহাটিতে বসে থাকা একজন মুচি শ্রী রুবেল রবিদাস বলেন, করোনার কারণে মানুষ এখন বাজারেই আসা প্রায় বাদ দিছে। ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে লোকজন বাজারে কেনাকাটা করতে আসছিল, একটু কাজ-কাম হয়েছিলো। ঈদ শেষ, বাজার ফাঁকা। আমাদের তো আর বাড়তি কোন আয় নাই, এই জুতা সেলাই করে বউ বাচ্চাদের নিয়ে চলি।

হিলি বোয়ালদাড় ইউনিয়নের বিশাপাড়া (বটতলী) গ্রামের শ্রী দ¦ীলিপ রবিদাসের সাথে কথা হয় তিনি জানান, কাজ না করলে ছেলে-মেয়েদের কি খাওয়াবো। পেটের দায়ে এই দোকানে বসা। করোনা আসার আগে প্রতিদিন ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা কামায় করতাম। এখন আর সেই কামায় নাই। দিনে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে সংসার চলে না। বোয়ালদাড় ইউনিয়ন থেকে কোন ত্রাণ পায়নি। ২৫০০ টাকা দেওয়ার কথা বলে নাম ঠিকানা নিয়ে গেছে। এযাবৎ কোন টাকাও পায়নি।

এবিষয়ে উপজেলার ২ নং বোয়ালদাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেফতাউ জান্নাত মেফতার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারী ২৫০০ টাকা ইউনিয়নে এখনও দেওয়া শুরু হয়নি। যাদের নাম তালিকায় করা হয়েছে তাদের মোবাইল নাম্বারে টাকা যাবে। যদি দ্বীলিপ রবিদাসের নাম তালিকায় উঠে থাকে তাহলে অবশ্যই সে এই টাকা পাবে।

এএমএস/প্রিন্স/স্বদেশ




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com