গ্যারি মিলার। কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক এবং ধর্ম যাজক ছিলেন। শুরুর জীবনে চরম ইসলাম বিদ্বেষী ছিলেন তিনি। ইসলাম ও ইসলামের সবশেষ নবী মোহাম্মদ সা:-কে কথায় কথায় আক্রমণ করা ছিল তার স্বভাবজাত। কিন্তু এক সময় আল্লাহ তাকে হেদায়েত দান করেন এবং গ্যারি মিলার ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করে ইসলাম প্রচারে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।
যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন গ্যারি মিলার- খ্রিস্টধর্মের কট্টর এক অনুসারী গ্যারি মিলার। একদিন তার সাথে সাক্ষাৎ হয় এক মুসলিম যুবকের। এই সুযোগে যুবকটি তাকে একটি কুরআনের অনুবাদ হাতে ধরিয়ে দেন এবং বলেন, ‘তুমি কুরআন নিয়ে কটূক্তি করো অথচ কখনো তা পড়ে দেখনি। একবার পড়েই দেখ, এরপরো যদি তোমার কুরআনকে আক্রমণ করতে মন চায়, তাহলে করো।’
ওই যুবক বলেন, ‘গ্যারি মিলার আমাকে জানান, তিনি কুরআন পড়তে শুরু করেন এবং এমন এক ভাবাবেগ সৃষ্টি হয় যে, তিনি একেবারে সূরা আন-নাসে গিয়ে থামেন। সিদ্ধান্ত নেন ইসলাম গ্রহণ করবেন। আর তার ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে যে আয়াতটি সবচেয়ে বেশি প্রভাবক, তা হলো- সূরা আম্বিয়ার ৩০ নম্বর আয়াত।’ যার অর্থ : ‘অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে, আকাশ আর যমীন একসাথে সংযুক্ত ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে আলাদা করে দিলাম, আর প্রাণসম্পন্ন সব কিছু পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না? ইসলামের গ্রহণের পর গ্যারি মিলার দদ্য অ্যামেজিং কুরআন’ নামে বৈজ্ঞনিক গবেষণামূলক একটি বই রচনা করেন। এই বইটি অনেক বিধর্মীর ইসলাম গ্রহণের মাধ্যম হয়। ইসলামে প্রবেশের পর গ্যারি মিলার আর অধ্যাপনার পেশায় থাকেননি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করে ইসলাম প্রচার-প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। -আলজাজিরা অবলম্বনে বেলায়েত হুসাইনের অনুবাদ