বৃহত্তর সিলেট বিভাগ তথা মৌলভীবাজার জেলার বর্তমান সময়ের শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থের শিক্ষক, হাজারও ছাত্র-শিক্ষকের প্রিয় ওস্তাদ, মৌলভীবাজার জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম শায়খুল হাদিস আল্লামা আব্দুল বারী(৮৭) ধর্মপুরী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…….. রাজিউন)। মৌলভীবাজার শহরের সুলতানপুরস্থ ভাড়াবাসায় ৬ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় তিনি ইন্তেকাল হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮২ বছর। তিনি ৮ কন্যা ও ৩ পুত্র, নাতী, নাতনীসহ অনেক আত্নীয়-স্বজন, ছাত্র ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নস্থিত ধর্মপুর গ্রামে। মরহুমের জানাযার নামাজ শহরের শাহমোস্তফা (রঃ) টাউন ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় পরদিন ৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে। বরেণ্য এ আলেমের জানাযার নামাজে বৃহত্তর সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবীদ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, শিক্ষকসহ নানা শ্রেনী পেশার হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। জানাযার নামাজের পূর্বমুহুর্তে মৌলভীবাজার পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আয়াছ আহমদ ও রাজনগর উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওঃ আহমদ বিলাল’র যৌথ পরিচালনায় বরেণ্য এ শীর্ষ আলেমের কর্মময় জীবনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, বরুণার পীর আল্লামা মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান, মুফতি হাবিবুর রহমান, সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মাওঃ জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, গহরপুর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফিজ মাওঃ মুসলেহ উদ্দিন রাজু, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও আলেম সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। পরে মরহুমের বড় পুত্র বরুনা মাদরাসার মুহাদ্দিস, মুফতি হিফজুর রহমান ফুয়াদ মরহুম আল্লামা আব্দুল বারী(৮৭) ধর্মপুরী’র জানাযার নামাজে ইমামতি করেন। জানাজা শেষে তাকে ধরকাপন জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়। দাফন শেষে দোয়া পরিচালনা করেন দারুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম শায়খুল হাদিস মুফতি শামছুজ্জোহা। মরহুমের কনিষ্ঠ পুত্র সাইফুর রহমান ফয়সল জানান- আল্লামা আব্দুল বারী ধর্মপুরী দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত অসুস্থ্যতায় ভূগছিলেন। সিলেটের ইবনে সিনা হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। ইবনে সিনা থেকে নিয়ে আসার পর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি বাসাতেই ছিলেন।