সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে জনগুরুত্ব পূর্ণ এলজিইডি পাকা রাস্থায় কোল ঘেষে গড়ে উঠা সরকার রিক্সে মাটি বাহি ট্রাকের ধুলাই জন জীবন অতিষ্ট্য হয়ে উঠেছে। গত সোমবার দুপুরে সরজমিন দেখা যায়, উপজেলা ধানগড়া ইউনিয়নের নলছিয়া গ্রামের মনিরুজ্জামান তোতার দখলকৃত খাস জমি থেকে ইটভাটার মাটি সংগ্রহ করছে সরকার বিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। যা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা রয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কর্তৃক ইতি পূর্বে নলছিয়া মৌজায় সকল সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় এবং নামজারি করা থেকে নিষেদাজ্ঞা জারি করেন। উক্ত সড়কটিতে কাদা-পানি মিশ্রীত মাটি ট্রাক থেকে রাস্তায় পড়ে একাকার। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। একের পর এক দুর্ঘটনায় পড়ছে মোটরসাইকেল। মঙ্গলবার দুপুর থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত সড়ক দুটিতে অন্তত ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল কাদায় পিছলে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। গতকাল সড়কটিতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে ভয়ে ভয়ে নিম্নগতিতে কয়েকজনকে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা গেছে। কাদায় সড়কের পাশের লোকজন ও ব্যবসায়ীরাও দুর্ভোগে পড়েছেন। লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রায়গঞ্জ উপজেলার নলছিয়া খাস পুকুরের মাটি সরকার রিক্সের নিকট বিক্রি করেন। এখন আটঘড়িয়া, বাশুড়িয়া, নলছিয়া, রৌহা, গ্রাম সোনাই, রায়গঞ্জ গ্রামের এলাকার কৃষকেরা টাকার বিনিময়ে ফসলি জমির উপরি ভাগের মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। এসব মাটি যাচ্ছে সরকার রিক্সের ইটভাটায়। মাটি নেয়ার জন্য সড়ক দিয়ে দিনরাত চলাচল করে ট্রাক ও ট্রলি। পরিবহনের সময় মাটি পড়ে সড়কে। রাতে মাটি কাটার ফলে কাদা-পানি মিশ্রীত মাটি পড়লে সকালে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে থাকে। এ পরিস্থিতিতে সড়কটিতে চলাচল করা দায় হয়ে পড়েছে। ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ উদ্দিন খান বলেন, ‘মাটির ট্রাকের জন্য বিপদে আছি। এতদিন ধুলার মধ্যে ছিলাম। এখন কাদার মধ্যে আছাড় খেতে হচ্ছে। প্রশাসনকে জানালেও বিষয়টি তারা দেখছে না। নলছিয়া মোড় এলাকা ব্যবসায়ী বাবলু(৪২) বলেন, ‘এখানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মাটি বহনকারী ট্রাক যাওয়া-আসা করে। ট্রাকের চাকার ঘর্ষণে কাদামাটি দোকানের ভেতরে আইসা পড়ে। আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি।’ আটঘড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য আব্দুল মমিন তালুকদার(৫২) বলেন, প্রতিদিন রায়গঞ্জ বাজারে আসার সময় মোটরসাইকেলটি ৩/৪ কিলোমিটার ঠেলে আনতে হয়েছে। ‘দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় ট্রাক দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃপ্তি কণা মন্ডলের মুঠো ফোনে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।