মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

শেরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে বৈধ স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গচুরের প্রতিবাদ ও ক্ষতিপূরণ দাবী

শেরপুর প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

শেরপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে বৈধ স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গচুরের প্রতিবাদে এবং ক্ষতিপূরণ দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের দাবী, কোন ধরণের নোটিশ না দিয়েই বৈধ স্থাপনাতে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বসতবাড়ী ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। আর তা করা হয়েছে সড়ক ও জনপদের সার্ভিয়ারকে দাবীকৃত ঘুষ না দেয়ার কারণে। যদিও সংশ্লিষ্ট দপ্তর বলছে, নিয়ম মেনে জেলা প্রশাসনের কাছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলোকে উচ্ছেদ  করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২ টায় শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ব্যানারে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে তারা বলেন, শেরপুরের ফার্নিচার বেচাকেনার অন্যতম মার্কেট পূর্বশেরীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে আমাদের নিজস্ব জায়গায় গড়ে উঠা  নাসির ফার্নিচার মার্ট, শেখ সাদী ফার্নিচার মার্ট, স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারের বসত বাড়ীসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনৈতিক ভাবে ভাংচুর চালায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তাতে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে লিখিত বক্তব্য পাঠকারী ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী এনায়েত আহাম্মেদ বলেন, অভিযান শুরুর আগে সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা এনামূল হক উচ্ছেদ অভিযান ঘুষ দাবী করলে তা না দেয়াতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এই ভাংচুর চালান। আমরা এর সুষ্ঠ তদন্ত করে ক্ষতিপূরণ দাবী করছি। তবে এব্যাপারে অভিযুক্ত কর্মকর্তা বলেন, এই অভিযোগটি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। দেশের স্বার্থে, রাষ্ট্রের স্বার্থে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে আমি শুধুমাত্র আমার দ্বায়িত্বপালন করেছি। এদিকে সড়ক ও জনপথ শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এখানে আমরা যারা কর্মরত আছি কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই ,এইগুলো রাষ্ট্রের সম্পত্তি। আর রাষ্ট্রের এই সম্পতি রক্ষার স্বার্থে সময়ে সময়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। আর অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে সবধরনের আইনী প্রদক্ষেপ গ্রহন করেই করা হয়। জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবুও কেউ যদি মনে করেন তিনি হয়রাণীর স্বিকার হয়েছেন তিনি চাইলে জেলা প্রশাসনে কিংবা আমার দপ্তরে অভিযোগ জানাতে পারেন। উল্লেখ্য যে, ১০ এপ্রিল রবিবার দুপুরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম ও সদর থানা পুলিশের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চালু করেন। এসময় প্রায় ৪০ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে অবৈধ দখলদাররা একত্রিত হয়ে সওজ এর সার্ভেয়ার মো. এনামুল হকের উপর চড়াও হয়। এতে সে আহত হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়। এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com