মানবাধিকার সংরক্ষণ, নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য ও সহিংসতা প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের ক্ষমাতায়িত করার লক্ষ্যে উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে বুধবার জামালপুর সদর উপজেলা নারী ক্ষমতায়ন ফোরাম গঠন করা হয়। উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শেওলা সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি তাহমিনা আক্তার। সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াছমিন লিটা।মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ভয়েস টু চয়েজ, নলেজ এন্ড কালচার প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা, মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, সহকারী পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল, প্রকল্প ব্যবস্থাপক লিটন সরকার, প্রকল্প কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন, জামালপুর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর সাইদা আক্তার, নাসরিন আক্তার, নারী উদ্যোক্তা শিলা আহম্মেদ, কেন্দুয়া ইউনিয়ন নারী ক্ষমতায়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম, নারীনেত্রী বিলকিস বেগম, ফাতেমা বেগম প্রমুখ । সভা শেষে ফারজানা ইয়াছমিন লিটা আহ্বায়ক, সাইদা আক্তার ও মাহমুদা বেগম যুগ্ম আহ্বায়ক এবং নাসরিন আক্তারকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা নারী ক্ষমতায়ন ফোরাম গঠন করা হয়। উল্লেখ স্বল্পমেয়াদী ও পরীক্ষামূলক এ প্রকল্পের আওতায় জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া, মেষ্টা, তিতপল্লা, শাহবাজপুর, রশিদপুর ও রানাগাছা ইউনিয়ন নারী ক্ষমতায়ন ফোরাম গঠন করা হয়। এছাড়া নারী সমাবেশ, জিবিভি বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন, ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন, স্কুল ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। ভবিষ্যতে প্রতিটি ইউনিয়নে এধরণের ফোরাম গঠন করা হবে বলে উন্নয়ন সংঘ সূত্র জানায়। অপরদিকে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার এ চিরন্তন বাক্যের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে মেলান্দহের হরিনাপাই গ্রামে। গুরুতর আহত অবস্থায় দিনমজুর শাহাআলম জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে শুয়ে পঙ্গতুবরণের অজানা আশঙ্কায় কাঁদছে। অপরদিকে আসামীরা প্রকশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে মামলার বাদী অভিযোগ করেন। চার অসামীর তিনজন আদালত থেকে জামিন নিয়ে নানাভাবে হুমকী প্রদান করছে বলে বাদীর স্বজনরা জানায়।মামলাসূত্রে ও বাদী মোছাঃ মহেলা খাতুন এ প্রতিনিধির কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন গত ২৯ মার্চ মেলান্দহ উপজেলার হরিনাপাই গ্রামে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওইদিন বিকালে এলাকার চিহ্নিত একদল দাঙ্গাবাজ ও ভূমিদস্যু বাড়ি ঘরে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামালা চালায়। হামলায় বাধা দিলে আসামীরা মহেলা খাতুন ও তার স্বামী শাহাআলমের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। তাদের আর্ত চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে বাদী ও তার স্বামীকে প্রাণে রক্ষা করে। হামলাকারীরা চলে যাবার পর লোকজনের সহায়তায় গুরুতর আহত আবস্থায় বাদী মহেলা খাতুন ও তার স্বামী শাহাআলমকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মহেলা বেগম বাদী হয়ে ৪ এপ্রিল মেলান্দহ থানায় ১৪২/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০ ধারায় মামলা দায়ের করেন।মামলার আসামীরা হলেন মোঃ রমিজ উদ্দিন সুজন, আব্দুর রহিম টুনি, মোছাঃ রওশনারা বেগম, মোছাঃ বিলকিস বেগমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জন। এরমধ্যে তিনজন আদালত থেকে জামিন পেয়েছে। একজন পলাতক আছে বলে পুলিশ জানায়। মামলার সত্যতা স্বীকার করে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএম ময়নুল ইসলাম বলেন আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। জামালপুর জেনারেল হাসাপাতালের চিকিৎসাধীন শাহাআলম ও তার স্ত্রী মহেলা বেগম এ প্রতিনিধিকে বলেন অবৈধভাবে বলপ্রয়োগ করে আমাদের জমি বেদখল নিতে বার বার চেষ্টা করছে। ঘটনার দিন একই উদ্দেশ্য বাড়িঘরে হামলা ও জমি জবরদখল করতে এসে আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তারা প্রভাবশালী বলে পাড় পেয়ে গেলে আমাদের মতো অসহায় মানুষ সারাজীবন শুধু মার খেয়েই যাবে। আমরা ন্যায় বিচার চাই।