দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানা ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে যোগদান করেন এই সহকারী উপ-পরিদর্শক। তিনি ঘোড়াঘাটে যোগদান পর থেকে থানায় মোবাইল হারানো জিডি বা বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে টাকা হারানো উদ্ধার করে দিয়েছেন এএসআই রাখিমুজ্জামান রানা। ঘোড়াঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু হাসান কবির পিপিএম (সেবা) বলেন, এএসআই রাখিমুজ্জামান রানা প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেক দক্ষ। থানায় মোবাইল হারানো সংক্রান্ত জিডি হলে, তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে নিজ দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে অনেক পরিশ্রম করে মোবাইলগুলো উদ্ধার করেন। ৮ মাসে প্রায় ৭১ টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং এছাড়া বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেওয়া কয়েকটি ঘটনায় টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছেন এএসআই রাখিমুজ্জামান রানা। এএসআই রাখিমুজ্জামান রানা বলেন, মোবাইল ফোন মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বেশিরভাগ মোবাইল হারানোর জিডি হয় ছাত্র ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের। আমি সবগুলোই সমান গুরুত্বের সাথেই তাদের হারানো মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করি। কেননা মোবাইলে প্রয়োজনীয় নম্বর থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। তথ্য প্রযুক্তি আমাদের অনেক এগিয়ে নিয়েছে। গত ২১ এপ্রিল ঘোড়াঘাট থানার কাজিপাড়া গ্রামের এমদাদুল হক ওসমানপুর যাওয়ার পথে তার মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যায়। ২১ এপ্রিল ঘোড়াঘাট থানায় জিডি হলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা সাভার থেকে ফোনটি উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম এবং ঘোড়াঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হাসান কবির পিপিএম (সেবা) উক্ত ফোনটি ভুক্তভোগীর হাতে বুঝিয়ে দেন।