ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসনে বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ হাফিজ ইব্রাহিম আট দিন ধরে অবরুদ্ধ। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সশস্ত্র ক্যাডারদের অস্ত্রের মহড়া ও প্রাণনাশের হুমকিতে রোববার থেকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার নিজ বাসায় তিনি অবরুদ্ধ রয়েছেন।
অভিযোগ- একই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুলের ক্যাডাররা হাফিজ ইব্রাহিমের বাসার সামনে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। খণ্ড খণ্ড মিছিল করে তারা উস্কানিমূলক স্লোগান ও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তা না থাকায় হাফিজ ইব্রাহিম নির্বাচনী প্রচার, পথসভা ও গণসংযোগ করতে পারছেন না। বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর, ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় নেতাকর্মীরা ভয়ে মাঠে নামতে পারছে না।
বিএনপি প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম মোবাইল ফোনে খবরপত্রকে জানান, এ আসনের তিনি সাবেক সংসদ সদস্য। কিন্তু বর্তমানে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। সাতদিন ধরে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা বাসার সামনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে, উস্কানিমূলক স্লোগান দিচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তা না থাকায় তিনি বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলায় গণসংযোগ ও পথসভা করতে পারছেন না। দুই উপজেলার কোথায়ও ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার লাগাতে ও লিফলেট বিতরণ করেতে দেয়া হচ্ছে না। সাত দিনে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এবং তার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা না দিতে নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করলেও আমলে নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, ভোলা জেলা পুলিশ সুপার এবং বোরহানউদ্দিন থানার ওসিকে একাধিকবার সহযোগিতা চেয়ে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তাকে নির্বিগ্নে নিরাপত্তা দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, এ উপজেলায় ধানের শীষের পক্ষে ৯০ ভাগ জনসমর্থন রয়েছে। সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হলে, এজেন্ট ও ভোটারদের নিরাপত্তা দেয়া হলে ধানের শীষের বিজয় সুনিশ্চিত।
খবরপত্র/এমআই