রাজশাহীর বাঘা উপজেলার একটি বাগানে নতুন জাতের আমের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই বাগানে এ জাতের চারটি গাছ চিহ্নিত করেছে উপজেলা কৃষি অফিস। উৎপত্তিস্থলের সঙ্গে মিল রেখে আমটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বাঘাশাহী’। এরই মধ্যে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান উদ্দ্যোগে নতুন আগাম জাতের ‘বাঘাশাহী’ আম সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। ‘বাঘাশাহী’ আম খিরসাপাত আমের মতো সুমিষ্ট এবং এর নিজস্ব সুঘ্রাণ রয়েছে। এ আম দেখতে কিছুটা আ¤্রপালির মতো তবে অনন্য সন্দুর রং রয়েছে। বৈশাখ মাসের শেষে পাওয়া যাবে ‘বাঘাশাহী’ আম। ফলে চাষিরা এ আম চাষ করলে বাজারে গুটি আমের আগেই বাজারজাত করতে পারবেন ও উৎপাদন হলে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হবে। ইতোমধ্যেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছেন। ‘বাঘাশাহী’ আমে কোনো আশ নেই আঁটি ছোট ও পাল্পের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যান্য আম পাকার পর সাধারনত ৩-৪ দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। তবে এ আম পাকার পর ৭-৮ দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে। এ আম পাকার পর খুব আকর্ষণীয় রং ধারণ করে। এ আমের ডাটা অন্য আমের চেয়ে শক্ত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশি হওয়ায় প্রতি বছর আম ধরবে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, ওই গাছ থেকে সায়ন সংগ্রহ করে চারা তৈরি জন্য বিভিন্ন সরকারি নার্সারিতে দেওয়া হবে। আশা করছি ২-৩ বছরের মধ্যে সেই চারা সবাই সরকারি দামে ক্রয় করতে পারবেন। এ আম গাছটি বাঘায় অবস্থিত তাই উৎপত্তিস্থলের সাথে মিল রেখে এর নামকরণ করা হয়েছে ‘বাঘাশাহী’। তিনি আরো বলেন, এ আম মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পাকবে। আঁশ নেই, আঁটি ছোট তাই পাল্পের পরিমাণ বেশি। মিষ্টতার পরিমাণ খিরসাপাত/হিমসাগরের কাছাকাছি। পাকার পরেও প্রায় ১০ দিন ভালো থাকবে। আগামী বছর থেকে বিভিন্ন সরকারি নার্সারিতে এ জাতের চারা যাতে পাওয়া যায়, সে ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।