মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা বললেই আওয়ামী লীগ নেতাদের মন খারাপ হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তারা বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের চরিত্র হনন করার জন্য প্রতি মুহূর্তে মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন। কিন্তু তাকে ছোট করা যাবে না। তার শাসনামলে দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পেরেছিল। গতকাল মঙ্গলবার (৩১ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে’ কৃষক দলের উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীও সরকার শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে দেয়নি- এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, মানিকগঞ্জ, বরিশাল ও বগুড়ায় হামলা করা হয়েছে। এটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। মিছিল নাই, মিটিং নাই। তারপরও সারাদেশে হামলা করা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা সকল দলের গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও বর্তমানে এটিকে মহাপাপ বলে গণ্য করা হচ্ছে। কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বক্তব্য দেন।
২০
চালের অবৈধ মজুত ঠেকাতে মাঠে খাদ্য মন্ত্রণালয়
ধান চালের অবৈধ মজুত ঠেকাতে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই মাঠে নেমেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আটটি টিম। কেউ অবৈধ মজুত করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা এবং অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবন্থা নিতে কাজ করবে টিমের সদস্যরা। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অবৈধ মজুতদারী প্রতিরোধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের আধা সরকারি পত্র প্রেরণ ও এনএসআই, র্যাব ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকেও এ বিষয়ে পত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও শিগগিরই কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বিত সভা আয়োজন করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
এ লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে অবৈধ মজুদের তথ্য জানাতে +৮৮০২২২৩৩৮০২১১৩,০১৭৯০৪৯৯৯৪২ এবং ০১৭১৩০০৩৫০৬ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।