লালমনিরহাটের পাটগ্রামে জগতবেড় ইউনিয়নের শান্তিরাম মৌজায় গত শনিবার দিবাগত রাতে প্রায় তিন বিঘা জমির ওপরে মাহবুবার রহমান মাছুম নামে এক ব্যক্তির লাগানো মেহগিনি আম সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় পাঁচ শতাধিক চারা তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়াও ওই জমির ওপরে একটি টিনের চালা ঘরও ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। ভুক্তভোগী মাছুম জানান শান্তিরাম মৌজার জেএল নম্বর ২৩ খতিয়ান নম্বর ২৬ ও ১০ খারিজ কেস নম্বর ১১৯৭ এ তার ২ একর ৩১ শতাংশ জমি রয়েছে। তার দখলীকৃত ওই জমিতে তিনি মেহগিনি আম সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় পাঁচ শতাধিক গাছ লাগান। তার লাগানো গাছগুলো শনিবার রাতে দুর্বৃত্তরা তুলে নিয়ে গেছে। জানা গেছে স্থানীয় প্রভাবশালী আলী নামে এক ব্যক্তির সাথে তার দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। মরহুম জবেদ আলী ওই জমি তার ছেলে মাছুমের নামে খরিদ করেন। মাছুম নাবালক থাকা অবস্থায় আলীর বড় ভাই মরহুম শামসুল আলম দুলাল তার জীবতদসায় জবেদ আলীকে বিভিন্ন হুমকী ধামকি দিয়ে জোরপূর্বক মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতে হক সভা করেন। মাছুম সাবালক হলে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ভুমি অফিসে ১১৯৭ খারিজ মুলে নালিশী জমি তার দখলে নেন। মাছুমের মা পাটগ্রাম উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারা বেগম বলেন আমার স্বামী মরহুম জবেদ আলী খুবই নিরীহ প্রকৃতির ছিলেন। ওই সময়ে তার পাশে দাড়ানোর কেউ ছিলনা। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে শামসুল আলম দুলাল ও তার ভাই আলী আমার স্বামীকে বিভিন্ন হুমকী ধামকি প্রদর্শন করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতে গোপনে একতরফা হক সভা করেন। জানা গেছে নাবালকের সম্পত্তি হক সভা করতে হলে আদালতের পূর্বানুমতি এবং নাবালকের স্বার্থ সংরক্ষণ সহ বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। কিন্ত এসব শর্তের একটিও পুরণ করেননি দুলাল ও তার ভাই আলী। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম সম্প্রতি তর্কিত সম্পত্তিতে মাহবুবার রহমানের অধিকার, স্বত্ব ও স্বার্থ বিদ্যমান রয়েছে বলে আইনগত মতামত দিয়েছেন। মতামতে তিনি আরও বলেছেন নাবালকের উত্তম স্বার্থ ছাড়া আইনে আপোষ করার কোন সুযোগ নেই। মনোয়ারা বেগম দাবী করেন আলীরা এলাকায় খুব প্রভাবশালী দাঙাবাজ এবং ভুমিদুস্যু। তারা যেকোন মুহুর্তে ছেলে সহ তার পরিবারের ক্ষতি করে দিতে পারে। এ বিষয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।