কর ফাঁকির বিষয়ে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গণফোরামের সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালতে ড. কামালের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা। তবে এ রিট হাইকোর্টের এখতিয়ারাধীন অন্য বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপনে সুযোগ রয়েছে বলে আইনজীবীরা জানান।
আয়কর নিয়ে করা আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদনটি করেন ড. কামাল। ড. কামাল হোসেনের আনা রিটে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ছয় কোটি নয় লাখ ৮৫ হাজার ৩৫১ টাকা ট্যাক্স দিতে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত স্থগিত চাওয়া হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক কোটি চার লাখ তিন হাজার ৪৯৫ টাকা আয়কর রিটার্ন দাখিল করে। কিন্তু ওই অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তার নামে ২০ কোটি ১১ লাখ চার হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ছয় কোটি নয় লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা আয়কর এবং আরো ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা সুদ দাবি করে। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বরে রাজস্ব বোর্ডের এক ডেপুটি কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম কমিশনারের কাছে আপিল করেন কামাল হোসেন। ওই আপিল শুনানি শেষে ২০২০ সালের ২৫ জুন তা খারিজ করে আদেশ দেন আদালত। এরপর যুগ্ম কমিশনারের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কর আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। আপিল ট্রাইব্যুনাল তার সেই আবেদন খারিজ দেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।