পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপি’র সাত নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় সেতু বিভাগের উপ সচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর নয়া পল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে আমন্ত্রণপত্রসমূহ পৌঁছে দেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ- এই সাতজনের নামে আমন্ত্রণপত্র দেয়া হয়। উপসচিব বলেন, ‘আমি সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কার্ডসমূহ দিতে এসেছি।
এ ব্যাপারে রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘আমরা এই কার্ড রিসিভ করিনি। আমি অফিসে বসে ছিলাম, জাস্ট তারা দিয়ে গেছেন, ব্যাস। সেতু বিভাগের কর্মকর্তা দিয়ে গেছেন। এটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই।’ আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তরের সময়ে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল খায়ের ভুঁইয়া, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির ৭ নেতা পেলেন পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির সাত নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। গতকাল বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১টায় সেতু বিভাগের উপ সচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম থান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এই সাতজনের নামে আমন্ত্রণ কার্ড দেয়া হয়। এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, খাইরুল কবির খোকন ও আবুল খায়ের ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরায় হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পরে মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে ওই এলাকায় ১০ লাখ মানুষের জমায়েত করার পরিকল্পনা করেছে আওয়ামী লীগ। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সারা দেশে একযোগে দেখানোর ব্যবস্থা করতে ডিসিদের ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ দিন ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাতিরঝিলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানোর পাশাপাশি লেজার শোয়ের আয়োজন করা হবে। সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ২৯ জুন পর্যন্ত তাদের অনুষ্ঠান পালন করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী দিনগুলোর অনুষ্ঠান হাতিরঝিল ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা অন্য কোনো সুবিধাজনক জায়গায় হতে পারে।