লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় চোরের উপদ্রবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এক রাতে ৩ গ্রামের ৮ বাড়িতে সিঁধ কেটে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার (০৯ জুন) গভীর রাতে উপজেলার উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়ন ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড ওক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে এ চুরির ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ৩ গ্রামের মানুষ। এছাড়া গত সপ্তাহে আরো ৪ বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঝাউডগী গ্রামের চাপরাশী বাড়ি, রাঢ়ী বাড়ি, মেস্তরী বাড়ি ও ৮নং ওয়ার্ডের দিঘলদী গ্রামের সরদার বাড়ি, মুতাইত বাড়ি, মোল্লা বাড়ি ও মৃধা বাড়ি এবং ক্ষিন চর আবাবিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বরোচর গ্রামের বাইন বাড়িতে সিঁধ কেটে চোরেরল চুরি করে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়ন ও ক্ষিন চর আবাবিল ইউনিয়নের লোকজন যে যার মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সংঘবদ্ধ চোরেরল ৩টি গ্রামের ৮বাড়িতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা-পয়সা, ামী পোশাক, মোবাইল ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায়। এতে ৮বাড়ি থেকে চোরেরল নগদ অর্থসহ প্রায় ৬লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় বলে জানান ভুক্তভোগীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার কয়েকজন শিক্ষক জানান, রায়পুর উপজেলার শেষ ও হাইমচর উপজেলার শুরু এমন মধ্যবর্তী জায়গায় মাদকসেবন ও সরবরাহ দেদারসে চলার কারনে চোরের উপদ্রব বেড়ে চলেছে। নিয়মিত পুলিশি টহল জোরদার করা না হলে চুরি, ছিনতাই ও অপরাধমূলক ঘটনা আরো বেশি ঘটতে পারে। উল্লেখ্য যে, উপজেলার শেষ প্রান্তে দিঘলদী, ঝাউডগী ও বরোচর এলাকায় মাদকের সরগরম ব্যবসা চলছে। উঠতি বয়সের তরুণরা মাদকসেবন ও সরবরাহের কাজে জড়িত বলে জানা যায়।
উপজেলার হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক এস.আই মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, একসঙ্গে ৮বাড়িতে চুরির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএস/প্রিন্স/খপ