রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজ ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তবুদ্ধির প্রাঙ্গণ থেকেই দেশের সাধারণ মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বুদ্ধিজীবী নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি তাঁদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে উচ্চশিক্ষার বিস্তার, মানসম্পন্ন গবেষণা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসার, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি এবং একটি আধুনিক ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। মো. আবদুল হামিদ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদান এবং গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে এটাই সকলের প্রত্যাশা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।