শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বগুড়া শেরপুরে আগুনে পুড়লো পঁচিশ বিঘা জমির ভুট্টা ইসলামাবাদে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন বীর মুক্তিযোদ্ধার নির্মাণাধীন দোকানে সন্ত্রাসী হামলা বাগেরহাট নানান আয়োজনে মে দিবস পালিত ভালুকা বিশেষায়িত পেঁয়াজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন বরিশালে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভুট্টা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা, দ্বিগুণ লাভের আশা নগরকান্দায় অগ্নিকান্ডে চারটি দোকান ঘর ভস্মীভূত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে না-কেন্দ্রীয় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার গলাচিপায় পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা ও জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালিত

রোদে পুড়ছে মেহেরপুরের পাট

খবরপত্র ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২

বৈরি আবহাওয়ার কারণে এবছর পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মেহেরপুরের চাষিরা। আষাঢ় পার হয়ে শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহতেও মেহেরপুরের আকাশে বৃষ্টির দেখা মিলছে না। ফলে রোদ আর খরা-তাপে শত শত বিঘা জমির পাট গাছ নষ্ট হচ্ছে। এদিকে বাড়তি খরচ করে জমিতে পানি সেচ দিয়েও পাট গাছের চেহারা ফিরছে না বলে হতশায় ভুগছেন কৃষকরা। এছাড়া রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ায় কীটনাশক প্রয়োগেও লাভ হচ্ছেনা। পাটের পাশাপাশি মৌসুমী অন্য ফসল নিয়েও বিপাকে রয়েছেন চাষিরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, এ বছর মেহেরপুর জেলার ২১ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫০ হেক্টর বেশি। তারা আরো জানায়, বৃষ্টির অভাবে শুধু ক্ষেতের পাটই পুড়ছে না একই সঙ্গে চিচিংগা, পুঁইশাক, পটল, ঢেঁড়স, পেঁপেসহ মৌসুমী ফসল নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া আবহাওয়ার এই অবস্থা থাকলে প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমির আমন চাষ ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাট উৎপাদনে দেশের অন্যসব জেলার মধ্যে অন্যতম মেহেরপুর। এই ফসল উৎপাদন করেই সংসার চলে অনেক কৃষকের। কিন্তু তাপদাহ এবং বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। লাভের মুখ দেখা হবে না জেনেও খরচ তুলতে তারা এখনও বৃষ্টির পানির দিকে তাকিয়ে আছেন। এরই মধ্যে তাদের অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ১৫ দিন পরেই পুরাদমে এ জেলায় পাট কাটা শুরু হবে। এতোদিনে চাষিরা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে পাট ক্ষেতে সেচ দিয়ে এসেছেন। কিন্তু তাদের পক্ষে এখন টাকা দিয়ে সেচ দেওয়া আর সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়া নদ নদীর পানিতে পাট জাগ দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় নতুন করে বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা। ফলে সব আশা ফুরিয়ে যেতে বসেছে তাদের। জেলার মুজিবনগর উপজেলার মানিকনগর গ্রামের পাটচাষি শেখ শফিউদ্দিন বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে ক্ষেতের পাট পুড়ে যাচ্ছে। পাটে পোকা লেগেছে। জমিতে সেচ ও কীটনাশক দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছেনা। পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়াতেও সমস্যার সৃষ্টি হবে। ভৈরব ও স্রস্বতী খালসহ জেলার নদ-নদীগুলো পাট জাগ দিতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পাট নিয়ে চাষিদের মাথায় হাত উঠেছে।’
মেহেরপুর সদর উপজেলার দীঘিরপাড়া গ্রামের পাট চাষি আকছার আলী বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে এবছর রেকর্ড পরিমাণ সেচ দিতে হচ্ছে। পাট ক্ষেতে সপ্তাহে একবার আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সপ্তাহে দু’বারও সেচ দিতে হচ্ছে। বৃষ্টির দেখা মিলবে মিলবে করে আমরা সেচ বাবদ অনেক টাকা খরচ করেছি। এরপরও পানি সেচ দিয়ে যদি পাট জাগ দিতে হয় তবে জেলার কৃষকরা কয়েক বছরের জন্য পিছিয়ে পড়বে। এখন লাভের আশা ছেড়ে খরচ উঠবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত সবাই।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে এ মৌসুমে পাট চাষিদের ক্ষেতে সেচ আর কীটনাশক দিতে প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়েছে। পাট কাটা শুরু হবে। পানির অভাবে পাট কিভাবে পচানো হবে তা নিয়ে কৃষকরা চিন্তিত। এ মুহূর্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভৈরবসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে পাট জাগ দেওয়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই খরচ বেশি হলেও রিবন পদ্ধতিতে পাট জাগ দিতে হবে। অন্যথায় মাঠ কিংবা গ্রামের ছোট ছোট ডোবা বা পুকুরে পানি সেচ দিয়ে পাট জাগ দিতে হবে। এতে করে অন্তত ক্ষতির হাত থেকে কিছুটা হলেও বাঁচবে কৃষক।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com