প্রায় তিন সপ্তাহ অতিক্রম হলেও কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার নিকটাত্মীয়রা দেখা করার অনুমতি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, আজ প্রায় ২১-২২ দিন অতিক্রান্ত হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার নিকটাত্মীয়দের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। বন্দিদের যে আইনসম্মত অধিকার, তা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে খালেদা জিয়াকে। এই নিষ্ঠুর আচরণ কিসের ইঙ্গিতবাহী?
এভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অন্তরীণ রেখে বাইরের দুনিয়া থেকেও সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করার পাঁয়তারা চলছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী সাত দিন পর পর বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের নিয়ম। অথচ খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে এ বিধান করা হল ১৫ দিন পর পর। এখন সেই ১৫ দিনের বিধানকেও সরকারের নির্দেশে কারা কর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করছে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার নিকটাত্মীয়দের দেখা করতে না দেয়াটা রীতিমতো কঠিন মানসিক নির্যাতন বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, এ নিয়ে শুধু তার আত্মীয়স্বজনই নয়, দেশবাসী উদ্বেগাকুল ও উৎকণ্ঠিত। এ সময় বিএনপির এ নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ভোটের পূর্বাপর ব্যাপক সহিংসতা, ধানের শীষের প্রার্থীদের অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা, নেতাকর্মী-সমর্থকদের ওপর নির্বিচারে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করাসহ প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেফতার, আদালতকে ব্যবহার করে প্রার্থিতা বাতিলসহ ভোটের নামে নিষ্ঠুর তামাশায় শুধু দেশবাসীই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদে সোচ্চার।
‘মানুষের ভোটাধিকার হরণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ন্যক্কারজনক ভূমিকায় দেশবাসী হতবাক ও ক্ষুব্ধ। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন জনগণের ললাটে এক বিষাক্ত কাঁটা।’
খবরপত্র/এমআই