কাঁচা মরিচের বাজারে লেগেছে আগুন! পিরোজপুরের নাজিরপুরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায় এবং জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বেচা-বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। একইসাথে বাজারে বেড়েছে সবজির দাম।
নাজিরপুর (পিরোজপুর): পিরোজপুরসহ নাজিরপুর উপজেলার বড় বড় সবজি বাজারে ২৫০ টাকায় বিক্রি হলেও পাড়ার দোকান ও ছোট ছোট বাজারে ৩০০ টাকার নিচে মিলছে না কাঁচা মরিচ। অনেকে বাধ্য হয়ে শুকনো মরিচ দিয়েই কাঁচা মরিচের চাহিদা পূরণ করছেন। এদিকে বাজারে অন্য সবজির দাম কম থাকায় হাফ ছেড়ে বাঁচছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার সাতকাছিমা বাজার ও নাজিরপুর বাসস্ট্যান্ড বাজারসহ বুধবার শ্রীরামকাঠী সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেগুন কেজি প্রতি জাতভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, মুখী ৪০-৫০ টাকা, চিচিংগা ৩০-৩৫ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, পটল ৩০-৪০ টাকা, গাজর ১২০-১৩০ টাকা, শসা হাইব্রিড ২০ টাকা, দেশী শসা ৩০-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ২০-৩০ টাকা, করলা ৩০-৫০টাকা, পেপে ৩০ টাকা ও টমেটো ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে চালকুমড়া আকার ভেদে প্রতিপিস ২০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩৫ টাকা, ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, গোল আলুর কেজি ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সাতকাছিমা বাজারের সবজি বিক্রেতা বেলায়েত হোসেন জানান, কাঁচামরিচের দাম পাইকারি বাজারেও বেড়েছে। তাই আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি। আমরা কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা লাভ করে থাকি। পাইকারি বাজারে দাম না কমলে আমাদের কিছু করার নেই। তবে অন্য সবজির দাম অনেক কমেছে।
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বেচা বিক্রি হচ্ছে। দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহরের হাট-বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার পরিদর্শনে গিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। দেওয়ানগঞ্জ বাজার, জাম্বিল বাজার, সুগার মিল বাজার, মন্ডল বাজার, ঝালর চর, সানন্দবাড়ী, কাউনিয়ার চর বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে কাঁচা মরিচ ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ, নবীন, জুয়েল, রঞ্জিত দাসসহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে মরিচের আব্দার কম হওয়ায় এবং চাহিদা অনুযায়ী বাইরে থেকে আমদানি কম হওয়ায় কাঁচা মরিচের বাজার এতটা বেড়ে গেছে। তারা আরো জানান, চুয়াডাঙ্গা, নগরবাড়ী, রাজবাড়ী, পাবনা, রাজশাহীসহ নানা স্থান থেকে আমরা কাঁচা মরিচ আমদানি করে থাকি। ওইসব এলাকায় অন্য সময় এক থেকে দেড় শ’ মরিচের আড়ৎ খোলা থাকত। এবার মাত্র কয়েকটি আড়ৎ খোলা রয়েছে। যে কারণে আমদানি করাও সম্ভব হচ্ছে না। সেখানেই দাম বেশি । মরিচের সিজন শেষ পর্যায়ে। এ সময় এমনিতেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বেশির ভাগ মানুষ শুকনো গুড়া মরিচ রান্না-বান্নায় ব্যবহার করছেন। গত এক-দুই সপ্তাহ আগেই এখানকার হাট-বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বেচা-কেনা হয়েছে। অনেকে এক পোয়া আধা পোয়া মরিচ কিনছেন হাট-বাজারে। বাজারে যেসব মরিচ ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তার মানও তেমন ভালো না। গরীব অসহায় দিন মজুর ও স্বল্প আয়ের মানুষেরা হাট-বাজারে পচা আধা পচা বা উচ্ছিষ্ট কাঁচা মরিচ কম দামে পেয়ে কিনে বাড়ি-ঘরে ফিরছেন। আগে যারা এক কেজি আধা কেজি কাঁচা মরিচ কিনতেন এখন তাদেরকে এক পোয়া আধা পোয়া কিনতে দেখা যাচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় কষ্টে পড়েছে এলাকার মানুষ।ব্য রাখছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।