জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে আগামী মাসে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর। গতকাল রোববার (২১ আগস্ট) নগরীর ইআরএফ মিলনায়তনে ‘নিউ চ্যালেঞ্জ ইন দ্য ইকোনমি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, সর্বশেষ জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে আছে। তবে আগামী মাসে এটা ১০ শতাংশ হবে। এটা যেন ১০ শতাংশের বেশি না হয়। তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। ১০ থেকে ১২ শতাংশ হলে আমাদের সবার উপরে অনেক প্রেশার পড়বে। সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, এটা যেন এক বছর স্থায়ী হয়। এর মধ্যেই মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে। এর বেশি স্থায়ী হলে সবার কষ্ট হবে। মুল্যস্ফীতি অবশ্যই কমাতে হবে। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে। তা না হলে সামনে আরও দুঃখ আসছে।
বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সামনে চালের উপরেও প্রভাব পড়বে। ধানের উৎপাদন ভালো হবে না। মার্কেটকে দোষারোপ করে লাভ হবে না। দরকার হয় আমদানি বাড়াতে হবে। এটা নিয়ে আমাদের এখনই ভাবতে হবে। সাপ্লাই সাইড আরও ভালো করতে হবে। রাজস্ব আয় প্রসঙ্গে ড. মনসুর বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় আরও জোর দিতে হবে। বিদ্যমান যে ব্যবস্থা আছে তা দিয়ে হবে না। বরং ব্যবসায়ীদের আরও হয়রানি বাড়বে।
অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের স ালনায় আলোচনায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশের নিট পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল কাসেম খান, ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী প্রমুখ।