বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরান। বর্তমান বিশ্বে এখন এক আতঙ্কের নাম, প্রাণঘাতী রোগের নাম। এখন পর্যন্ত ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোও করোনার হানায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১ কোটি ৬৬ লাখ ১২ হাজার ৩৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫০৩ জন। তবে করোনা থেকে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ২ লাখ ১০ হাজার ৪৫২ জন।
তবে একক দেশ হিসেবে শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৯ জন। মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ৫০ হাজার ২৮৩ জন। ২৪ লাখেরও বেশি আক্রান্ত ও ৮৭ হাজারেরও বেশি মৃত্যু নিয়ে এরপরই আছে ব্রাজিল।
শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যায় বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে আছে লাতিন আমেরিকার আরও তিনটি দেশ- মেক্সিকো, পেরু ও চিলি।
পরীক্ষার সংখ্যা কম হওয়ায় নিশ্চিতভাবেই অনেক দেশের সরকারি পরিসংখ্যানে প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিফলিত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কোভিড-১৯ এ মৃত্যু সংখ্যার দিক থেকে স্পেন ও ফ্রান্সকে টপকে যাওয়া ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৫০৩ জন।
বাংলাদেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৯৬৫ জনের। শনাক্ত হয়েছে দুই লাখ ২৬ হাজার ২২৫ জন। আর করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ৬৮৩ জন।
চীন থেকে শুরু হওয়া এই ভাইরাস দেশটিতে আবার দেখা দিয়েছে। সোমবার (২৭ জুলাই) নতুন করে ৬১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা এপ্রিলের পর দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড।
নতুন করে আক্রান্তদের ৫৭ জনই শিনজিয়ান প্রদেশের। শিনজিয়ান প্রদেশেই উইঘুর মুসলিমদের বসবাস। এছাড়া লিয়াওনিং প্রদেশে ১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাইরাসটি নতুন এবং এ সম্পর্কে খুব বেশি জানাবোঝা নেই চিকিৎসক ও গবেষকদের। দীর্ঘমেয়াদে মানবশরীরে ভাইরাসটি কীভাবে কাজ করে এবং এর প্রভাব কতটা গভীর এ নিয়ে অনেক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
বাবু/প্রিন্স