কেশবপুরে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভান্ডারখোলা দাখিল মাদ্রাসার ৫ শতক সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জবর দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না হলে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ভান্ডারখোলা ৫৭ নং মৌজার ৫৫৫ নং সি এস খতিয়ান, এস এ ৮৪২ ও আর এস ১/১ খতিয়ানের এবং সি এস ও এস এ৮৪২ নং দাগ এবং আর এস ২০৭৭ নং দাগের ৫ শতক সম্পত্তি ভান্ডারখোলা দাখিল মাদ্রাসা ১৯৮৭ সাল হতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করে আসছে। ২০০৮ সালের দেওয়ানী মোকামদ্দমাটি মাদ্রাসার অনুকুলে ৫ শতক জমির রায় প্রদান করে। কিন্তু ফতেপুর গ্রামের এরশাদ আলী বিশ^াসের পূত্র আনছার আলী বিশ^াস, ভান্ডারখোলা গ্রামের মোবারেক গাজীর পূত্র রফিকুল ইসলাম, ভান্ডাখোলা গ্রামের শশবর সরকারের পূত্র নারায়ন চন্দ্র সরকার এবং খুলনা জেলার পাইকগাছা এলাকার নাছিরপুর গ্রামের সন্তোষ কুমার সরকার ভান্ডাখোলা দাখিল মাদ্রাসার উক্ত ৫ শতক সম্পত্তি জবর দখল করেন বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ উক্ত ৫ শতক জমিতে নির্মাণ কাজের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে দরখাস্ত করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত উক্ত ভবন নির্মাণ কজের বিরুদ্ধে ২৩ আগস্ট অস্থাযী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। যা থানার মাধ্যমে কার্যকরী করার কথা থাকলেও বর্তমানে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভান্ডারখোলা দাখিল মাদ্রাসার ৫ শতক সম্পত্তি জবর দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর না হলে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে নারায়ন চন্দ্র সরকার জানান, আদালত থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ পেয়েছি। সেখানে আদালত কোন নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেনি। নির্ধারিত তারিখে আমরা কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিব।