শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন

শেরপুরে ৩ সপ্তাহ থেকে নেই গ্যাস ভোগান্তিতে অর্ধশতাধিক পরিবার

জাহিদুল খান সৌরভ শেরপুর  :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

শেরপুর জেলা শহরের উত্তর গৌরিপুর মহল্লায় গত ৩ সপ্তাহ থেকে নেই গ্যাস, জ্বলছে না চুলা। তাই ভোগান্তিতে অর্ধশতাধিক পরিবার। এদিকে শেরপুর গ্যাস অফিস বরাবর মৌখিক আবেদন জানালেও মিলছে না প্রতিকার। এমন অভিযোগ জানিয়েছেন গ্যাস না পাওয়া পরিবারগুলো। এদিকে দীর্ঘদিন থেকে গ্যাস না পাওয়ায় নানা রকম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শেরপুর জেলা শহরের উত্তর গৌরিপুর মহল্লার নারী সদস্যদের। অনেক পরিবার সামান্য কাঠ- লাকড়ি জোগাড় করে কোন রকমে একবেলা রান্না করে ৩ বেলা খাবার খাচ্ছে। অন্যদিকে যেসব পরিবারে অসুস্থ ও ছোট শিশুরা রয়েছে খাবার নিয়ে তাদের কষ্টের কথা জানান, একাধিক পরিবারের সদস্যরা। কষ্ট লাঘবে বিকল্প হিসেবে কয়েকটি পরিবার সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করলেও দাম বেশি থাকায় সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে পারছে না অনেক পরিবার। এদিকে গ্যাস না পাওয়ায় প্রায় সব পরিবারের নারী সদস্যদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকে আবার কোনরকম লাকড়ি সংগ্রহ করে মাটির চুলায় রান্নার কাজ সারছেন। তবে সেটা কষ্টকর। কারন এই বৃষ্টির দিনে বাইরে রান্না করা কঠিন। এদিকে ঘরে মাটির চুলায় রান্না করলে প্রচুর ধোঁয়া হচ্ছে। গৌরিপুর মহল্লার বাসিন্দা সুরুজ আলী জানান, দীর্ঘদিন থেকে আমাদের মহল্লায় এই গ্যাসের সমস্যা। শতাধিক বাড়িতে ৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গ্যাস নেই, অনেকের বাড়িতে আবার গ্যাস থাকলেও গ্যাসের চাপ অনেক কম। এদিকে গ্যাস পাইপের একটি লিকেজ দিয়ে প্রতিনিয়ত গ্যাস বুদবুদ করে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা আর দুই একদিন অপেক্ষা করব, গ্যাস বিষয়ে কোন সুরাহা না হলে আমরা মানবন্ধন করব। মেসে ভাড়া থাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাসেল মিয়া জানান, শেরপুর সরকারী কলেজ কাছে থাকায় জেলা শহরের উত্তর গৌরিপুর মহল্লায় আমরা ২ শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেসে থেকে পড়াশোনা করছি। গত ৩ সপ্তাহ থেকে গ্যাস না থাকায় আমরা সময়মত খাবার খেতে পারছি না, কলেজে যেতে পারছি না। এছাড়াও পেটে ক্ষুধা নিয়ে পড়তেও আমাদের কষ্ট হচ্ছে। স্থনীয় বাসিন্দা রেহানা আক্তার বলেন, আমাদের অনেকের পরিবারে অসুস্থ ও ছোট শিশু রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে গ্যাস না থাকায় আমরা অসুস্থ রোগীকে সময়মত ওষুধ দিতে পারছি না। পরিবারের ছোট শিশুরাও সঠিক সময়ে খাবার না পেয়ে কান্নাকাটি করে। এবিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোং লিমিটেডেরর সহকারি প্রকৌশলী মো. জাকারিয়া আবেদ বলেন, আমরা এপর্যন্ত কোন গ্রাহকের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com