সরই-ডলুছড়ি ভূমি উন্নয়ন, অধিকার রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কারণে বান্দরবানের লামায় ডুকতে পারেনি সিএইচটি কমিশনের একটি টিম। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং রবিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল পর্যন্ত লামার সরই ইউনিয়নের প্রবেশদ্বার হাসনাপাড়া ও কেয়াজুপাড়া বাজারে ভূমি উন্নয়ন, অধিকার রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে অবস্থান নেয় দুই শতাধিক স্থানীয় বাঙ্গালী জনগণ। বিকেল সাড়ে ৪টায় সরই কেয়াজুপাড়া বাজারে সন্ত্রাসী মদদপুষ্ট রংধজন গং কর্তৃক রাবার বাগান ভূমি দখল, প্রতিবাদে ভূমি উন্নয়ন, অধিকার রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ এর আয়োজনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, সিএইচটি কমিশনের সরই আগমন ঠেঁকাতে সকাল ৭টা থেকে শক্ত অবস্থানে থাকে বাঙ্গালী লোকজন। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙ্গালী নিধনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, উপজাতি সন্ত্রাসীদের মদদ জোগাতে সিএইচটি কমিশন সরই ইউনিয়নে আগমনের কথা ছিল। পরে বাঁধার মুখে তারা ফিরে যায়। তারা বলেন, পার্বত্য এলাকায় সরকার ও সাধারণ মানুষের উন্নয়ন ও ভূমি অধিকার খর্বকারী উপজাতি সন্ত্রাসীদের পক্ষে সিএইচটি কমিশন মিথ্যা বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়ে আসছে। যার ফলে আমাদের পার্বত্য অঞ্চলে প্রশাসনিক কর্মকান্ডকে আন্তর্জাতিকভাবে বিভ্রান্ত করছেন। আমাদের প্রতিবাদ হচ্ছে সন্ত্রাস, বে-আইনি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে। সিএইচটি কমিশনের বিরুদ্ধে আমাদের কোন অনুযোগ নেই। কমিশনের সদস্যদের মিথ্যাচার নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করছি। একটি সত্য নিরপেক্ষ কমিশন করে পাহাড়ের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হলে বিশ্ব দরবারে আমাদের সরকার ও প্রশাসনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। সরকার পার্বত্য জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মকান্ড সাধন করছে। শান্তি সম্প্রীতি উন্নয়ন ধরে রাখতে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, পাহাড়ে নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্ট কাজ করছেন। কিন্তু এসব মানবিক সূচকগুলোকে ম্রিয়মান করার জন্য উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন গ্রুপে তৎপর রয়েছে। এদিকে সিএইচটি কমিশন পাহাড় সম্পর্কে একতরফা রিপোর্ট দিয়ে বাঙ্গালীসহ পাহাড়ের সরকার ও সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর মানবিক ভূমিকাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আসছে। বক্তারা বলেন, আজ তারা একটি বিতর্কিত ভূমিতে সন্ত্রাসীদের পক্ষে স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য এখানে আসতে চাইছেন। কিছুদিন আগে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভূমিহীনদের জন্য সরকারি খাস ভূমিতে যখন গৃহ নির্মাণ কাজে সেখানকার উপজাতি সন্ত্রাসীরা বাধা দিয়েছিল; তখন সিএইচটি কমিশন আসেনি কেন? আজ যখন উপজাতি সন্ত্রাসীদের মদদপুষ্ট একটি চক্র লামা রাবারের বাগানে বে-আইনিভাবে জোর করে স্কুল প্রতিষ্ঠা করছেন, সেই বে-আইনি জুলুম কর্মকান্ডকে সমর্থন দিতে সিএইচটি কমিশন সরই আসছেন। বক্তারা কমিশনের পক্ষপাতিত্বকে তীব্র নিন্দা জানান। বিকেল চারটায় কেয়াজুপাড়া চৌরাস্তায় ভূমি অধিকার রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মোঃ নুরু মিয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন,সাংবাদিক কামরুজ্জামান, আব্দুল গফুর, কালু মেম্বার সহ প্রমূখ।