করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আটকে থাকা কওমি মাদরাসার ডিগ্রি ও মাস্টার্স পর্যায়ের সকল পরীক্ষা সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার (২৪ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর কারণে ডিগ্রি ও মাস্টার্স পর্যায়ের পরীক্ষাগুলো নিতে পারবে কওমি মাদরাসা। মাদরাসাগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট কিতাব বিভাগের কার্যক্রম চালু ও পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছিল কওমি মাদরাসাগুলো। ওইদিন সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে আবেদনপত্রটি পৌঁছে দেন কওমি মাদরাসার একটি বোর্ড জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড, বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল।
পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও কিতাব বিভাগে ক্লাস চালুর অনুমতি দেয়নি সরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, স্কুল, কলেজ খুলে দেওয়া বা পিইসি, জেএসসি, এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির কারণে দেশের প্রায় ২২ হাজার কওমি মাদরাসার ২৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী গত শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। ঈদুল ফিতরের পর কওমি মাদরাসাগুলোর নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও করোনার কারণে তা স্থগিত রাখা হয়।
এর আগে দেশের সব হাফিজিয়া মাদরাসা ও হিফজখানা ১২ জুলাই থেকে চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত ৮ জুলাই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, এসব মাদরাসাকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
এইচএসসি, অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা জেএসসি-জেডিসি এবং পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা পিইসির বিষয়ে বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ তারা মোটামুটি আলোচনা করেছে। এইচএসসি বা অন্যান্য পরীক্ষা সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় তারা আলোচনা করছে। তারা দেখবে দেখে একটা সিদ্ধান্ত নেবে। সচিব (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা) কালকেও প্রেসে কথা বলেছেন। তবে স্কুল, কলেজ এখনও খোলার মতো সময় আসছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না। কিন্তু পরীক্ষার বিষয়ে ওনারা খুব স্ট্রংলি চিন্তা-ভাবনা করছেন, কীভাবে কী করা যায়।
বাবু/প্রিন্স