মীরসরাই উপজেলার ১২নং খৈয়াছড়া ইউনিয়ের মসজিদিয়া গ্রামের কাজির হাট-রামমন্ডল সড়ক খালে বিলিন হওয়ার পথে। পাকা সড়কটি দিয়ে যাতায়ত করে ৫ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। গত দেড় বছর আগে অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে ফাটল দেখা যে ৩০০ মিটার অংশে। ফাটল ধরা অংশটি আর মেরামত না করায় এক বছর আগেই খালে ধসে পড়েছে সড়কটি। এতে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহালেও সড়কটি সংষ্কারের কিছুই করছে না স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থের সড়কটির খাল পাড়ের ৩০০ মিটার অংশের পুরোটাই চলে গেছে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাহেরখালী খালের পেটে। আগে সবসময় এই রাস্তায় মিনি পিকআপ, ব্যাক্তিগত গাড়ি, সিএনজি আটোরিক্সা, রিকসা চললেও এখন বাই সাইকেল চালাতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই সড়কে নিয়মিত সিএনজি চালক রহিম জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। আমাদের আয়ের অন্যতম উৎস ছিলো এই সড়কটি। কিন্তু সড়কটি খালে বিলিন হওয়ার আমাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগী জানান, কাজিরহাট-রামমন্ডল সড়কটি উত্তরে খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পুর্বে মায়ানী ভোরের বাজার, থেকে দক্ষিণে হাইতকান্দি ইউনিয়নের বাপনা পুকুর গ্রামকে সংযুক্ত করেছে। এই সড়ক দিয়ে উপজেলার হাইতকান্দি, মায়ানী ও খৈয়াছড়া ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষের নিত্য যাতায়াত করে থাকে। এই এলাকায় তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে মাজেদা হক উচ্চ বিদ্যালয়, মাজেদা হক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাজিরহাট মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও যাওয়া আসার একমাত্র রাস্তা এটি। পাশে সাহেরখালী খাল খনন করলে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে পুর্ব পাশে রাস্তা ঘেঁষে মাটি কাটায় পাকা রাস্তাটিতে ফাটল ধরে। পরে ফাটল ধরা অংশ মেরামত না করায় একই বছরের জুলাই মাসে মাঝামাঝিতে পুরো সড়কটি খালে ধসে পড়ে। খৈয়াছড়া ইউপি সদস্য সেলিম উদ্দিন বলেন, কাজিরহাট-রামমন্ডল সড়কটি খালে ধসে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে বিষয়টি চেয়ারম্যান মহোদয়কে জানিয়েছি। খৈয়াছড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, কাজিরহাট- রামমন্ডল সড়কটি বিষয়ে ইউপি সদস্য আমাকে জানিয়েছেন। এত বড় রাস্তার কাজ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। উপজেলার আগামী সমন¦য় সভার মিটিংয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কারের দাবী তুলে ধরবো।