বর্তমান বিশ্বে এখন এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে একমাত্র ভ্যাকসিনের দিকেই তাকিয়ে আছে সারাবিশ্ব। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এর মধ্যেই ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ অনেকটাই এগিয়ে এনেছেন। তবে বেশ কিছু দেশের হাতে ইতোমধ্যেই করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে। এই দৌঁড়ে এগিয়ে আছে চীন এবং রাশিয়া। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও চাচ্ছে যতদ্রুত সম্ভব করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন দিয়েই করোনার বিস্তাররোধ করতে। দেশটির সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন (সিডিসি) সম্ভাব্য ভ্যাকসিন বিতরণে সব রাজ্যকে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে বলেছে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের মধ্যে সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গত বুধবার সিডিসির প্রকাশিত নথিপত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিডিসির এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী ভ্যাকসিন বিতরণের কাজে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে সীমিত পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হতে পারে। এর আগে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য সিডিসির পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং পাঁচটি বড় শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসে বলেছেন, করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলোর মধ্যে কোনটি নিরাপদ সে সম্পর্কে নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরের মধ্যেই পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৪ জন। অপরদিকে, দেশটিতে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬২ লাখ ৯০ হাজার ৭৩৭ জন। এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩২ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭৪১টি। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ১৫ হাজার ১০১ জন। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, নিউইয়র্ক, জর্জিয়া, ইলিয়নিয়স, আরিজোনা, নিউ জার্সি, নর্থ ক্যারোলিনা এবং টেনেসি। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ক্যালিফোর্নিয়ায় এবং সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য।