চর্মরোগের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তবে চর্মরোগ হওয়ার পেছনে আপনার গোসলের অভ্যাস দায়ী নয় তো? আসলে গোসলের ভুলেও ত্বকে চর্মরোগের সৃষ্টি হতে পারে। অনেকেরই গরম পানিতে গোসলের অভ্যাস আছে। যা শরীরের জন্য সব সময় প্রযোজ্য নয়। কারণ দৈনন্দিনের এই অভ্যাস ত্বক ও চুলের অনেকটাই ক্ষতি করে। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল কমে যায়। ফলে অ্যাকজিমা, সোরিয়াসিসসহ বিভিন্ন চর্মরোগের ঝুঁকি বাড়ে। এমন অনেক ধরনের ভুল আছে যা গোসলের সময় কমবেশি সবাই করেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক গোসলের ঠিক কোন কোন ভুলে হয় চর্মরোগ-
ভুল সাবান ব্যবহার:কোন ত্বকের জন্য কোন সাবান প্রযোজ্য তা জানা নেই অনেকেরই। তবে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যাকটেরিয়ার যম। আপনার যদি অ্যাকজিমা বা ত্বকের সংবেদনশীলতা থাকে, তবে বেশি সুগন্ধযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। গোসলের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
ভেঁজা তোয়ালে ব্যবহার: ঘন ঘন তোয়ালে ধুলে তা অবশ্যই শুকিয়ে নিন দ্রুত। না হলে ভেজা তোয়ালেতে ব্যাকটেরিয়া, খামির, ছাঁচ ও ভাইরাসের প্রজননস্থল হতে পারে। নোংরা তোয়ালে ব্যবহারে ছত্রাক, খোসপাঁচড়া হতে পারে। এজন্য সপ্তাহে অন্তত একবার তোয়ালে পরিবর্তন করুন বা গরম পানিতে ধুয়ে দ্রুত শুকিয়ে নিয়ে তারপর ব্যবহার করুন।
গরম পানিতে গোসল করা: গরম পানি দিয়ে দীর্ঘক্ষণ গোসল করলে ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল বের হয়ে যায়। আপনার যদি অ্যাকজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো চর্মরোগ থাকে তাহলে ৫-১০ মিনিটের বেশি গোসল করবেন না। প্রতিদিন সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন। এ ছাড়াও আপনার বাথরুম ফ্যান চালু রাখুন, যাতে হাওয়া চলাচল করতে পারে।
অপরিষ্কার লুফা ব্যবহার: লুফা সবার বাথরুমেই থাকে। এই উপকারী জিনিসে ব্যাকটেরিয়া লেগে থাকার ঝুঁকিও বেশি। ৫ মিনিটের জন্য ব্লিচে ভিজিয়ে রেখে নিয়মিত লুফা পরিষ্কার করে ব্যবহার করুন। এছাড়া প্রতি ২ মাস পরপর লুফা পরিবর্তন করুন।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করা: গোসলের পর শরীর ভালো করে মুছে শুকনো করে তবেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। পিঠে, হাতে, পায়ে ভালো করে লাগাতে হবে।
যাতে শরীরের কোনো অংশই শুষ্কও খসখসে না থাকে। এরপর পোশাক পরুন। তাহলে ত্বক পরিষ্কারও হবে আবার আর্দ্রতাও বজায় থাকবে। সূত্র: আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটোলোজি অ্যাসোসিয়েশন