বর্তমান সরকার মিডিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ করে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর আমরা কেটে দেই না, কোনো এক সময় এমন সেন্সরবোর্ড ছিল। কিন্তু আমরা কোনো রকম নিয়ন্ত্রণ করি না। স্বাধীনভাবেই মিডিয়া কাজ করে। আমি যেখানেই গিয়েছি সেখানেই মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি দেখেছি। তার মানে সারাদেশে মিডিয়াকর্মীদের বিচরণ রয়েছে। ফলে খবরগুলো সাথে সাথে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক বাংলার প্রকাশক চৌধুরী নাফিজ সারাফাত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের আরও অবদান রাখতে হবে। প্রতিদিন বাংলাদেশে যেসব ঘটছে তা যেভাবে লেখেন, সেভাবে পজিটিভ যে নিউজগুলো সেগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ করলে যারা ভালো কাজ করে উৎসাহিত হয়। তিনি বলেন, অনেক সময় নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। সেটি আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সবসময় সমাধান করছি। চ্যানেল আই কৃষি নিয়ে কাজ করছে, ফলে খামারিরা উৎসাহিত হয়েছে। দেশকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবেন বলে আশা করি।
প্রতিযোগিতামূলক আয়োজন ‘ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ এ এবার চারটি ক্যাটাগরিতে ১০টি পুরস্কারের জন্য ১১ জন সদস্য বিজয়ী হয়েছেন।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে সমকালের রাজীব নূর, প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম সমকালের আবু যর আনছার উদ্দীন আহাম্মদ, দ্বিতীয় দৈনিক শেয়ার বিজের মো. ইসমাইল আলী, তৃতীয় (যুগ্মভাবে) ডেইলি স্টারের মোহাম্মদ জামিল খান ও সমকালের ওবায়দুল্লাহ রনি। অনলাইন মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন নিউজবাংলা২৪.কমের শাহ্ আলম খান, দ্বিতীয় চ্যানেল আই অনলাইনের আবু মো. ফায়েজুল আরেফিন তানজীব, তৃতীয় ঢাকা পোস্ট ডটকমের আবু সালেহ সায়াদাত। ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের মুকিমুল আহসান হিমেল, দ্বিতীয় একাত্তর টিভির মো. আদনান খান (নয়ন আদিত্য), তৃতীয় মাছরাঙা টিভির মো. নূর হোসেন বিশ্বাস (নূর সিদ্দিকী)।