বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় উপকুলের মানুষ নানান প্রতিকুলতার মধ্যে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকে কাপাসিয়ায় ৫০ জন সহকারী শিক্ষকের যোগদান : ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে ইসলামী যুব মজলিসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক এবং সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে সনাক-টিআইবির মানববন্ধন ফটিকছড়িতে ইফতার মাহফিলে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন আমরা ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই মাদারীপুরে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেয়া হবে জামালপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা নওগাঁয় ২৫০ জন কুরআনের হাফেজকে সংবর্ধনা

শখের বশে কোয়েল পালন করে সফল মন্টু

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মাগুরা সদর উপজেলার নালিয়ারডাঙ্গি গ্রামে কোয়েল পাখির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন রেজাউল ইসলাম মন্টু। বর্তমানে তার খামারের ডিম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। অন্যদিকে কোয়েল পাখির মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় প্রতি মাসেই হাজার জোড়া কোয়েল পাখির বাচ্চা বিক্রি করছেন। তবে অর্থনৈতিক কারণে খামারটি আর বড় করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রামের অনেক বেকার যুবক খামারটিতে কাজ করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ আবার সকালে এসে বিকেলে বাড়ি ফেরেন। খামারের মালিক রেজাউল ইসলাম মন্টু ও তার দুই ভাই খামারে সময় দিয়েই নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।
পাইকাররা জানান, খামারটি থেকে উৎপাদিত ডিমের আকার ভালো হওয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা ভিড় জমান নালিয়ারডাঙ্গি গ্রামে। আবার ডিমের আকার-আকৃতি ভালো হওয়ায় বিক্রেতারা ডিম বিক্রি করেও লাভবান হন। ওই গ্রামের ভ্যানচালক রহমান শেখ জাগো নিউজকে জানান, আড়াই একর (২৫০ শতক) জমির উপর নির্মিত খামারটিতে গ্রামের ১৪-১৫ জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। খেয়ে-পড়ে বেশ ভালোই আছে বেশ কয়েকটি পরিবার। এ ছাড়া অনেক ভ্যানচালকও এখানে কাজ করছেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ (২০০ টাকা) পাওয়ায় মানুষ পরিবহন করা বাদ দিয়ে নেমে পড়েছেন এ কাজে। খামারের মালিক রেজাউল ইসলাম মন্টু জাগো নিউজকে জানান, ১৯৯৬ সালে প্রথম পোল্ট্রি ও লেয়ারের ব্যবসা শুরু করলে তাতে অর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরে ২০০১ সালে যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর শখের বশে নতুন করে শুরু করেন কোয়েল পাখির খামার। তখন থেকেই তিনি এ ব্যবসা ধরে রেখেছেন এবং সফল হয়েছেন। বাড়ি-ঘর, জায়গা-জমি থেকে শুরু করে কিনেছেন চাষের ট্রাক্টরও। পোল্ট্রি ও লেয়ারের চেয়ে কোয়েল পাখির খামারে ঝুুঁকি কম ও লাভ বেশি হওয়ায় স্থানীয় অনেকেই এখন কোয়েল পাখির খামার তৈরির কথা ভাবছেন। এ ছাড়া শ্রীপুর উপজেলায়ও ১টি খামার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান এলাকার যুবকরা।
মাগুরা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনোয়ারুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজার ব্যবস্থার উন্নয়নসহ এসব ছোট খামারিদের সহজ শর্তে অথবা সুদমুক্ত ঋণ দিলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক সাড়া পড়বে।’ তিনি ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনার জন্য উদ্যোগী হওয়ারও আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টদের।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com