কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মুন্সিরহাট গরু বাজার দখল করে মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন জালাল উদ্দিন মোল্লা নামের এক ব্যক্তি। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৮নং মুন্সিরহাট ইউনিয়নের মুন্সিরহাট গরুর বাজারটি শতাব্দিকাল ধরে এলাকার ঐতিহ্য বহন করে আসছে। ১৯৬১ সালের ১০ জুন বিশেষ অফিসার বোর্ড অব রেভিনিউ কার্যালয়ের স্মারক নম্বর ৭২৩ মূলে ওই ভূমিটি ‘মুন্সিরহাট গরু বাজার’ নামে লিপিবদ্ধ করা হয়। বাজারটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে সপ্তাহের প্রতি রোববারে গরুর হাট বসে এবং ওই এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে গরুর পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতার বিপুল সমাগম ঘটে। এ বাজারে হাজারো কৃষকের গবাদী পশু ক্রয়-বিক্রয় হয়। গরু বাজারটির ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করে গোপনে স্কুলের নামে খতিয়ান করে বাজারের অস্তিত্ব বিলীন করে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। মুন্সিরহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কমিটির সেক্রেটারী কমলেস মন্ডলসহ সংশ্লিষ্টরা জরীপ বিভাগের কর্মচারীদের যোগসাজশে গরু বাজারটির ৫০ শতক ভূমি ওই স্কুলের নামে খতিয়ানভুক্ত করে নেন। বর্তমানে গরু বাজারটি দখল করে বহুতল পাকা ইমারত ও দোকানপাট নির্মাণের কাজ শুরু করা হলে বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জনস্বার্থের বিষয়টি উপেক্ষা করে মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় কমিটির কতিপয় কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য কোনো প্রকার দরপত্র আহবান ছাড়াই ব্যবসায়ীদের থেকে মোটা অংকের টাকা জামানত নিয়ে গরু বাজারটি দখল করে দোকানপাট নির্মাণের কাজ করছে। যা অবৈধ বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। মুন্সিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমলেশ মন্ডল বলেন, ‘এ নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না’। সোমবার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোঃ ওয়াহিদুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। মার্কেটের দুইটি তলায় মার্কেট ও উপরের তলায় বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য হোস্টেল নির্মাণ করা হবে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থের জন্য মামলা করেছে। সে মামলা আদালত খারিজও করে দিয়েছে। আবারও তারা আপিল করেছে বলে শুনেছি’।