পৌষের প্রচন্ড শীতে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় জনজীবনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। ঘন কুয়াশা না থাকলেও উত্তরের হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রচন্ড শীতের কারণে রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা, বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। কিছু কিছু দোকানপাট খোলা থাকলেও সেরকমভাবে কাস্টমার দোকানে আসছে না। এখন বোরো ধান আবাদ করার জন্য জমি প্রস্তুত করা ও ধানের চারা রোপনের সময়। কিন্তু শীতের কারণে কৃষক তা করতে পারছেনা। এব্যপারে বড়ধুশিয়া গ্রামের কৃষক আক্তার হোসেন বলেন আমি জমি প্রস্তুত করে রেখেছি চাড়া রোপন করার জন্য কিন্তু শীতের কারণে কাজের লোক পাওয়া যাচ্ছে না এখন আবার পূনরায় পানি দিয়ে জমি প্রস্তুত করতে হবে। এছাড়া গত দিনে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমছে না। হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন গরিব, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। কষ্টে রয়েছে গবাদিপশুও। কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ ঠা-াজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধরা। এ এব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন, বলেন প্রচন্ড ঠান্ডায় রোটা ভাইরাসের প্রভাবে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের প্রকোপ অনেক বেড়ে গেছে তাই শিশুদের তরতাজা ও গরম খাবার খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন এবং গরম কাপড় পরিধান ও বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।