বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
তীব্র গরমে কালীগঞ্জে বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী দিদার পাশা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে কর্মশালা রায়পুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা আলী আহমেদের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত পলাশবাড়ীতে প্রচন্ড গরমে ঢোল ভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তরমুজ বিতরণ জুড়ীতে টিলাবাড়ি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাউজানে পথচারীদের মাঝে যুবলীগের ফলমূল ও ছাতা বিতরণ

লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে রোগী শূন্য

লাকসাম প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০

করোনাভাইরাস আতঙ্কে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের বাহিরে ও ভিতরে নেই রোগী ও স্বজনদের ছোটাছুটি। কমেছে বহিঃবিভাগের রোগীর সংখ্যাও।
গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে বর্তমান ১৪ জন চিকিৎসক, ২০ জন নার্স, ১ জন সহকারী নার্স ও ৪ জন ডেলিভারী নার্স কর্মরত থাকলেও রোগী ভর্তি আছে পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড মিলে মাত্র ১৫ জন। প্রতিটি ওয়ার্ডের বিছানাগুলো খালি পড়ে আছে। অপরদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে কোন রোগীর আনাগোনা নেই। তবে টিকিট কাউন্টারে দুইজন কর্মচারীকে বসে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ৩৫০ হতে ৪০০ রোগী হতো, সেখানে করোনা আতংকের কারণে ৫০-৬০ জনের বেশি রোগীর দেখা মেলে না।
হাসপাতালের বহির্বিভাগের রেজিষ্টার হতে কয়েকদিনের তথ্য খুঁজে দেখা যায়, ২৮ মার্চে ৪১ জন, ২৯ মার্চ ৭৬ জন, ৩০ মার্চ ৫০ জন, ৩১ মার্চ ৬৪ জন, ১লা এপ্রিল ৫৫ জন রোগী ডাক্তার দেখাতে এসেছে।
বর্হি বিভাগে রোগীদের সঙ্গে আসা মানুষগুলো হাসপাতালের ফটকের বাইরের সড়কের পাঁয়চারি করছেন। আর বহির্বিভাগে কিছু রোগী ডাক্তার দেখিয়ে পরামর্শ নিয়ে তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল আলী বলেন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী টহলে নেমেছে। সচেতনতা বৃদ্ধিতে তারা প্রচার করছেন, করোনা থেকে মুক্তি পেতে বাড়ি থেকে বের হবেন না, বাসায় থাকবেন। এসব শুনে মানুষ সচেতন হচ্ছেন। এখন যেন মারামারিও কমে গেছে। ফলে আহত হয়েও রোগী আসে না। তারা নিজেরাই বাসা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ওয়ার্ড ইন-চার্জ প্রভাতি রানী সিংহ বলেন,‘আগে ওয়ার্ডে জায়গা দেয়া যেত না, বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতো রোগীরা। এখন ওয়ার্ডে বিছানাগুলো খালি পড়ে আছে।’ তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এ কারণেও এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরুষ ওয়ার্ডের এক নার্স বলেন, এই ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৫-৫০ জন রোগী ভর্তি থাকত। করোনা ভাইরাসের কারণে এখন হাসপাতালে কোন রোগী ভর্তি থাকতে চায় না।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা,সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সচেতনা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com