তুরস্ক নৌবাহিনী সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে টিএজি আনাদুলু হালকা বিমানবাহরী রণতরী এবং উভচর অ্যাসাল্ট জাহাজ চালু করেছে। একে বিশ্বের প্রথম ‘ড্রোন ক্যারিয়ার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, এই রণতরীটি দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। কারণ গত সাত বছর ধরে দেশের ৭০ ভাগ জাহাজ স্থানীয় সম্পদে নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘টিসিজি আনাদুলু সশস্ত্র ড্রোন বহনকারী প্রথম জাহাজ।’ তিনি বলেন, বায়রাকতার টিবি৩ ড্রোন, কিজিল এলমা মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান ও হুরজেট হালকা যুদ্ধবিমান বহনের জন্য রণতরীটির নক্সায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, এই জাহাজে করে বিশ্বের যেকোনো স্থানে প্রয়োজনীয় সামরিক ও মানবিক অভিযানও পরিচালনা করা যাবে। এটি ইস্তাম্বলের শিপিয়ার্ড সাদেফে নির্মাণ করা হয়েছে। জাহাজটি ২৩১ মিটার লম্বা, ৩২ মিটার প্রশস্ত। এটি হেলিকপ্টারও বহন করতে পারে। এরদোগান বলেন, জাহাজের অস্ত্র, কমব্যাট ব্যবস্থাপনা, ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম, ইনফারেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাক, ইলেক্টো-অপটিক্যাল সার্চ, লেজার ওয়ার্নিং, টর্পেডো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং সেইসাথে রাডার- সবই স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। মার্কিন কর্নেল রিচ আউটজেন বলেন, তুর্কি নৌবাহিনীর জন্য টিসিজি আনাদুলু হলো গেম-চে ার। জাহাজটি মোট ৯৪টি যান বহন করতে পারে। এসবের মধ্যে রয়েছে ১৩টি ট্যাংক, ২৭টি সাজোয়া উভচর অ্যাসাল্ট যান, ছয়টি সশস্ত্র পারসোন্যাল ক্যারিয়ার, ৩৩টি নানা ধরনের যান ও ১৫টি ট্রেলর।
জানা গেছে, রণতরীটির ফ্লাইট ডেকে ১০টি হেলিকপ্টার বা ১১টি সশস্ত্র ড্রোন মোতায়েন করা সম্ভব। আর এর হ্যাঙ্গারে ১৯টি হেলিকপ্টার এবং ৩০টি সশস্ত্র হেলিকপ্টার বহন করা যায়। এতে ১,২২৩ জন অবস্থান করতে পারে।