অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালে কর্মরত কর্মচারীদের জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবীনামা পেশ করেন কমিটিবৃন্দ। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল স্টেনোগ্রাফার এসোসিয়েশন এর সভাপতি শেখ মো: আহছানুল হক, উপদেষ্টা মো: শাহ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো: নোমান আবেদীন সহ ০৪ সদস্যের একটি টিম বিগত ২৪/১১/২০২৪খ্রি. বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের মাননীয় সচিব মহোদয়, আইন ও বিচার বিভাগের আইন সচিব মহোদয়, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব মহোদয় এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন) মহোদয় ও পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মহোদয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অধস্তন আদালত/ট্রাইবুনালে কর্মরত স্টেনোগ্রাফারবৃন্দের বিভিন্ন দাবী সহ সামগ্রিকভাবে কর্মরত সকল কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া পেশ করেন। উক্ত দাবীসমূহের মধ্যে অন্যতম দাবী হলো-অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালের কর্মচারীদের জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় গঠন করা। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল স্টেনোগ্রাফার এসোসিয়েশন এর সভাপতি জনাব শেখ মোঃ আহছানুল হক সংস্কার কমিটির কাছে অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন বৈষম্যের কথা তুলে ধরে বলেন যে, অধস্তন আদালতের ফিডার পদধারী কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য মাত্র গুটি কয়েক প্রশাসনিক কর্মকর্তা’র পদ রয়েছে। উক্ত পদে ২০% কোটায় স্টেনোগ্রাফারদের ২০/২২ বছর পর প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে। কোটা স্বল্পতার কারণে উক্ত পদধারীদের সিংহভাগই পদোন্নতি না পেয়ে অবসরে চলে যাচ্ছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। উক্ত পদধারীগণ ফিডার পদ হিসেবে চাকুরিকাল ০৫বছর করার দাবী জানান। এছাড়াও দেশের অধস্তন আদালতের নেজারত/হিসাব/রেকর্ড/ অনুলিপি/লাইব্রেরি/জেএম শাখাসমূহ এবং দেশের প্রত্যেকটি ট্রাইব্যুনালে ০১ টি করে “প্রশাসনিক কর্মকর্তা” র পদ সৃজন করাসহ অন্যান্য নতুন পদ সৃজন করার দাবী করেন। সভাপতি শেখ মোঃ আহছানুল হক আরো জানা যে, ট্রাইব্যুনালের স্টেনোগ্রাফারদের নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে একাধিক পদের দায়িত্ব পালন করতে হয়, সেখানে আরো জনবল নিয়োগ করা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন বিচার বিভাগের কর্মচারীরা ৩০% জুডিসিয়াল ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা হতে বঞ্চিত রয়েছেন। জজ কোর্ট এর ১৯৮৫ ও ১৯৮৯ এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির ২০০৮ সালের নিয়োগ বিধি সংশোধন করে সকল কর্মচারীদের জন্য জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের নিয়ন্ত্রনে সহায়ক কর্মচারীদের একটি আধুনিক কমন নিয়োগ ও পদোন্নতির বিধিমালা প্রনয়নের জন্য জোর দাবী করেন।