একবারও তিনি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিলেন না। কিন্তু বুধবার দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সাফ বললেন, কিছু ভুঁইফোঁড় নেতা বলে বেড়াচ্ছে যে, তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোয় আমি অমিত শাহকে চারবার ফোন করেছি। তারা যদি একবারও আমার ফোন করার কথা প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমি মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেবো। মিথ্যা কথা বলার সীমা থাকে। এই ধরনের
গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল নেতারা সেই সীমা লঙ্ঘন করছেন। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, এই ধরনের মিথ্যা বলার জন্য কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে না। যদি প্রমাণ হয় তাহলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে সরে যাবেন। মমতা বলেন, বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় তকমা হরণ করার চেষ্টা করেছে। তা সফল হবে না। কারণ, এই ব্যাপারে ২০১৬ সালে রিভিউ হয়েছে, আবার রিভিউ হওয়ার কথা ২০২৬ সালে। তার আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় তকমা যেতে পারে না।
আম্বেদকর যখন সংবিধান রচনা করেছিলেন তখন আঞ্চলিক পার্টির অস্তিত্ব ছিল না বলে তিনি জানান। জোর দিয়ে মমতা বলেন, তৃণমূল জাতীয় পার্টি ছিল, থাকবে।
মমতা এদিন সাফ জানিয়ে দেন, প্রবল গরমের মধ্যেও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আগামী ২৫ এপ্রিল টানা দু’মাস জেলায় জেলায় সংহতি যাত্রা করবেন। অর্থাৎ ২৪ জুনের আগে যে পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে না তার স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল মমতার কথায়। তিনি বলেন, প্রস্তুতি সম্পূর্ণ নয় বলে অভিষেকরা দু’মাস সময় চেয়েছে। যেহেতু পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য সরকারই শেষ কথা তাই ধরেই নেয়া যায় যে, পঞ্চায়েত ভোট জুন মাসের শেষদিকে অথবা জুলাইতে হবে। যেহেতু সেই সময় ভরা বর্ষা, তাই এই ভোট আগস্টেও হতে পারে। এদিনের বৈঠকে প্রচ- তাপদাহ থেকে বাঁচতে কী করণীয় সেই পারামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী।