জাতিসঙ্ঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সুদানে ছড়িয়ে পড়া যুদ্ধ বন্ধে আমরা সম্পূর্নরুপে ব্যর্থ হয়েছি। কারণ, সেখানে প্রতিদ্বন্ধি জেনারেলদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান লড়াই একটি যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করেছে।’ গত বুধবার (৩ মে) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘ বিস্ময়ে বিস্মিত’। কারণ বিশ্ব সংস্থা এবং অন্যরা আশাবাদী ছিল যে একটি বেসামরিক সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা সফল হবে।
মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এবং আরো অনেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে বলে আশা করিনি। আমরা বলতে পারি যে আমরা ১৫ এপ্রিল সুদানের ডি ফ্যাক্টো নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও তার ডেপুটি প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, কমপক্ষে ৫৫০ জন নিহত এবং চার হাজার ৯২৬ জন আহত হয়েছে।
২০১৯ সালে শক্তিশালী ওমর আল-বশিরের পতনের পর থেকে, আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা বেসামরিক এবং সামরিক বাহিনীকে আলোচনার টেবিলে আনার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন, তারা বুরহান এবং ডাগলোকে খুব বেশি কৃতিত্ব দিছেন যারা ২০২১ সালের একটি অভ্যুত্থানে একসাথে কাজ করেছিলেন যা বশিরের পরের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে লাইনচ্যুত করেছিল। দুই জেনারেল পরে ক্ষমতার লড়াইয়ে দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়েন। সুদান বিশেষজ্ঞ আর্নস্ট জান হোগেনডোর্ন আটলান্টিক কাউন্সিলের জন্য লিখেছেন, সুদানী নেতাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ এবং তাদের বাহিনীর ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করে আন্তর্জাতিক এবং আ লিক নেতাদের অবশ্যই ‘কৌশলগতভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে’।