পাহাড়ে কোনো ধরনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেয়া হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত সুরক্ষিত করতে বিজিবিকে অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করে আরো শক্তিশালী করা হয়েছে। কোনো সন্ত্রাসী দল যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়, তবে সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নেবে। গতকাল রোববার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাইতুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ট্রেনিং সেন্টারে বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে ৯৯তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে বিজিবি এখন ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত হয়েছে। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবি এখন জল, স্থল ও আকাশপথে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম। স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে অত্যাধুনিক সার্ভেইলেন্স ইকুইপমেন্ট স্থাপন, অত্যাধুনিক যুগোপযোগী ও কার্যকর অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন্স, এটিভি, এপিসি, রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যাল এবং এয়ার বোটসহ দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়া বিজিবির প্রশিক্ষণ কর্মকা-ের কলেবর বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গায় আরো একটি আধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্বলিত ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ সময় তার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো: মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশিউর রহমানসহ সেনাবাহিনী ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুচকাওয়াজে নবীন সৈনিকদের সালাম গ্রহণ করেন। ৯৯তম রিক্রুট ব্যাচে ৩৭ জন নারী সৈনিকসহ মোট ৫৩৯ জন সৈনিক শপথ নেন। সর্ব বিষয়ের সেরা নবীন সৈনিক হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন মো: সোহেল।