পশ্চিমারা আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেনি বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান।
গতকাল শনিবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কিংবা তার পরে যিনি প্রেসিডেন্ট হবেন, তার সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সিএনএনের সাংবাদিক বেকি অ্যান্ডরসান প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কি মনে করেন যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন আপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেছেন? এরদোগান বলেন, এটা কী করে সম্ভব যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পাওয়া, নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া ও পার্লামেন্টের ৩২২ সদস্যের জোটের প্রতিনিধিকে পশ্চিমা বিশ্বাস স্বৈরাচারী জ্ঞান করবে? রাশিয়ার সাথে পশ্চিমাদের ভারসাম্যহীন নীতির সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, পশ্চিমাদের উচিৎ রাশিয়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ করা। এতে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে। এরদোগান বলেন, রাশিয়ার সাথে তুরস্কের সুসম্পর্ক রয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান। এ সময় মস্কোর ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থনের জন্য আঙ্কারার ওপর অনেক চাপ রয়েছে বলেও জানান তিনি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা এখনো এ পর্যায়ে উন্নীত হতে পারিনি যে পশ্চিমাদের মতো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব। তবে এ কথা ঠিক যে আমরা পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা মানতে বাধ্য নই। আমরা একটি শক্তিশালী দেশ। রাশিয়ার সাথে আমাদের ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আরো বলেন, অনেক ক্ষেত্রে রাশিয়া ও তুরস্ক একজনকে অন্যজনের প্রয়োজন পড়তে পারে। এ দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী ও রিপাবলিকান পিপলস পার্টির প্রধান কিলিকদারোগ্লু পশ্চিমাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন লাঘবের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে এরদোগান যে পথে হেঁটেছেন, তিনি কখনোই সে পথ মাড়াবেন না। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে পশ্চিমা বিশ্ব ও রাশিয়ার মাঝে মধ্যস্থতা অবলম্বনের চেষ্টা করছে তুরস্ক। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাক্ষরিত হয়েছে কৃষ্ণ সাগর শস্য করিডোর ইনিশিয়েটিভ চুক্তিটি। এর মাধ্যমে ইউক্রেনে আটকে পড়া লাখ লাখ টন গম রফতানির পথ উন্মোচিত হয়। গত বুধবার ওই চুক্তির মেয়াদ আরো দু’মাস বাড়ানো হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা মুবাশ্বির ও মার্কিন গণমাধ্যম