জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার অনেক তামাশা ও বায়োস্কোপ দেখাবে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে সংগঠনটির সদস্য সচিব নিপুন রায় চৌধুরীর ওপর হামলার প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, সামনে নির্বাচন আর এই নির্বাচনের আগে সরকার অনেক তামাশা ও বায়োস্কোপ দেখাবে। নিপুনের ওপর হামলাও বায়স্কোপের একটি অংশ। সেদিন ঢাকা জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে আমি প্রধান অতিথি ছিলাম। নিপুন মঞ্চে আসতে না আসতেই শুনলাম তার মাথায় ইটের আঘাত করা হয়েছে। তার সারা শরীর-পোশাক রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। কাপুরুষ সরকার না হলে একজন নারীর গায়ে হাত দেয়? নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে সারাদেশে যেখানেই নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে তিনি (নিপুন) ছুটে গেছেন। বাংলাদেশের পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ যেখানে অন্যায় হয়েছে তার প্রতিবাদে তিনি ছুটে গেছেন।
রাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, দেশে দুঃশাসন থাকলে, কর্তৃত্ববাদী একনায়কতন্ত্র থাকলে দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবে না।
বিএনপির এই মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, যারা ক্যাসিনো করেছে, ব্যাংক লুটপাট করেছে, কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তাদেরকে আদালতে হাজিরা দিতে হয় না। আর বিএনপির লোকদেরকে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোর্টে ‘লাব্বাইক’ বলতে হয়। কারণ বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকারের ভোট ডাকাতির প্রতিবাদ করেছে। অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সহধর্মিনীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিদিন সাক্ষী নেয়া হচ্ছে কেন? কারণ এটাও নির্বাচনের আগে সরকারের একটা বায়োস্কোপ। গতকাল কয়েকজন আইনজীবী এর প্রতিবাদ করেছে। এর জন্য আওয়ামী লীগের গু-াবাহিনী তাদের ওপর হামলা করেছে এবং তাদের কয়েকজন এখনো হসপিটালে ভর্তি। শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে এরকম আরো নৃশংস ঘটনা ঘটাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে। শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে হবে। এদের পতন করতে না পারলে দেশে আরো নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হবে। আমাদের একটাই দাবি নির্দলীয় নিরপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, অনেকেই বলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে। কথা বলার স্বাধীনতা দিতে। কে দেবে? সরকারের পতন হলেই এটা প্রতিষ্ঠিত হবে। এই সরকার ক্ষমতায় আর দেশের মানুষের স্বাধীনতা আসবে? আসবে না। তার পতন হলেই দেশের মানুষ কথা বলার স্বাধীনতা পাবে, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য রবিউল ইসলাম রবির পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জলবায়ু বিষয়ক সহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ।