গ্রাম-বাংলার গ্রীষ্ম মৌসুমের অন্যতম জনপ্রিয় পুষ্টি সমৃদ্ধ রসালো ফল হচ্ছে কাঁঠাল। গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি গাছের গোরা থেকে মগডাল পর্যন্ত থোকায় থোকায় ঝুলছে রসালো ফল কাঁঠাল।এ ফলটির সুমিষ্টি ঘ্রাণে মাতোয়ারা করে তুলেছে নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার গ্রামীণ জনপথ। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বাড়ির আঙিনায়, স্কুল-কলেজ, গ্রামীণ সড়কের ধারে, পুকুর পাড়ে কিংবা বাড়ির আনাচে-কানাচে রোপিত গাছে কাঁঠালে কাঁঠালে ভরে উঠেছে। কোনো কোনো গাছে দেখা গেছে ১০০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত কাঁঠাল ধরেছে। এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠাল বেশ পরিচিত। এ ফলটি পুষ্টিতে যেমন ভরপুর তেমনি খেতেও বেশ সুস্বাদু। কিশোর, কিশোরী এবং পূর্ণ বয়সী নারী-পুরুষ সব শ্রেণীর লোকজনই কমবেশি কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে। উপজেলার হাট বাজারে এখনো তেমন একটা কাঁঠাল দেখা না গেলেও আর কিছু দিনের মধ্যে মন কাড়ানো লোভনীয় কাঁঠাল ফলের গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে হাট বাজার। তবে উপজেলার কিছু হাটে বর্তমানে অল্প সংখ্যক কাঁঠাল ফল উঠতে শুরু করেছে। দামও বেশ হাতের নাগালে। এছাড়া উপজেলায় এবার আবহাওয়ায় অনুকূলে থাকায় কাঁঠালের বেশ ভাল ফলন হয়েছে। কাঁঠাল গাছে প্রাকৃতিক নিয়মে পাকে। পরিচর্যা এবং কোন কীটনাশক প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। কাঁঠাল পাকার পর এর সুমিষ্টি গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠে চারদিক। এর স্বাদ নিতে গাছে গাছে ভিড় করে কাঠবিড়ালি কিংবা নানান জাতের পশুপাখি ও মধু পিয়াসি কীট পতঙ্গ। কাঁঠাল তরকারি হিসেবে বেশ সুস্বাদু। কাঁঠালের বিচি সবজির সাথে রান্নাসহ বিচি পুড়িয়ে বা ভেজে ভর্তা বাঙ্গালীর ঐতিহ্যপূর্ণ বেশ জনপ্রিয় খাবার। কাঁঠালের কোন অংশই পরিত্যক্ত থাকেনা কাঁঠালের উচ্ছিষ্টাংশ (কাঠালের চাপি) গবাদি পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়। উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে ৪ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মোঃ রাসেল ইকবাল বলেন, কাঁঠাল একটি সুস্বাদু ও গ্রীস্মকালীন ফল। এটি আমাদের জাতীয় ফল। কাঁঠাল কাঁচা থাকা অবস্থায় আমরা খাওয়া শুরু করি। কাঁঠাল যখন পরিপক্ব হয় তখন আমরা এটি সিদ্ধ করে খাই। গ্রামাঞ্চলের মানুষ কাঁঠাল বিভিন্ন ভাবে খেয়ে থাকে। এছাড়াও কাঠালের বিচি রান্না করে খাওয়া যায়। এ বিষয়ে জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ বলেন, কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা দুই অবস্থাতেই সমান জনপ্রিয়। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কাঁঠালের ভালো ফলন হয়েছে।