ঘুরতে গেলে সঙ্গে কী কী নিতে হবে তার দীর্ঘ একটি তালিকা তৈরি হয়েছে। ঠান্ডার জায়গা হলে আলাদা করে গরম পোশাক নিতে হবে। ত্বকচর্চায় ছেদ পড়া চলবে না। তাই প্রসাধনীও সঙ্গে রাখতে হবে। ক্যামেরা, ফোনের চার্জার তো আছেই। ঘুরতে গিয়ে যদি কাজ করতে হলে ল্যাপটপও সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। বিপদে-আপদে যদি কোনও ওষুধ প্রয়োজন পড়ে, সঙ্গে রাখতে হবে তা-ও। হাতের কাছে দরকারি নথিপত্রও রাখাও আবশ্যিক। কিন্তু মাঝরাস্তায় হঠাৎ খিদে পেলে কী হবে? রাস্তার ধারে যা পাবেন তা-ই খেয়ে যদি শরীর খারাপ হয়, পুরো ঘোরাটাই মাটি হয়ে যাবে।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই ঝামেলা মেটাতে সঙ্গে এমন কিছু খাবার রাখতেই পারেন, যা স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুইয়েরই খেয়াল রাখবে।
১) কিনুয়া বা তিল দিয়ে বানানো চিক্কি: বন্ধু বা প্রিয়জনের সঙ্গে গল্প করতে করতে হঠাৎ যদি খিদে পেয়ে যায়, সঙ্গে রাখতে পারেন কিনুয়া, সাদা তিল বা বাদাম দিয়ে তৈরি চিট বা চিক্কি। প্রোটিন, ফাইবার এবং বিভিন্ন ভিটামিনে ভরপুর এই চিকিগুলি বেশ খানিক পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে।
২) বাটারমিল্ক: রাস্তায় মূত্রত্যাগ করতে সমস্যা হতে পারে। তাই অনেকেরই পানি কম খাওয়ার প্রবণতা থাকে। শরীরে পানির ঘাটতি থেকে নানা রকম সমস্যাও হতে পারে। এমন অবাঞ্ছিত সমস্যা এড়াতে সঙ্গে রাখুন বাটারমিল্ক। শরীর ঠান্ডা করার পাশাপাশি হজমের সমস্যাও দূর করে।
৩) শুকনো খোলায় ভাজা মাখনা: রাস্তার ধারে নানা রকম খাবার পাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু সেই সব খাবার খেয়ে শরীর বিগড়ে যেতেই পারে। তার চেয়ে স্বাস্থ্যকর মাখনা রাখুন সঙ্গে। পেট ভর্তিও হবে, সঙ্গে প্রোটিনের চাহিদাও পূরণ হবে।
৪) শুকনো ফল: ঘুরতে গেলে সঙ্গে কিছু শুকনো ফল রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা। বিভিন্ন রকম বাদাম, খেজুর, কিশমিশ, বেরিজাতীয় শুকনো ফল খেলে শরীরে পানির ঘাটতি হবে না। তা ছাড়া শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাবে।
৫) শুকনো খোলায় ভাজা ছোলা-বাদাম: ফাইবার, প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট এবং জ়িঙ্কে ভরপুর ছোলা এবং বাদাম মুখরোচক এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। খিদে পেলে রাস্তা থেকে চিপ্স বা বিস্কুটজাতীয় খাবার না খেয়ে এমন টুকটাক খাবার খাওয়া যেতেই পারে।