শরীর সুস্থ রাখতে সব ধরনের পুষ্টি গ্রহণ করা জরুরি। শারীরবৃত্তীয় নানা কর্মকা- পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন খনিজের। আর শরীরের গুরুত্বপূর্ণ খনিজের তালিকায় ক্যালশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ভূমিকা অপরিহার্য। শরীরের অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে এই ম্যাগনেশিয়াম। তাই নামে খুব একটা পরিচিত না হলেও এই খনিজটির অভাব কিন্তু শরীর নানাভাবে বুঝিয়ে দেয়।
চিকিৎসকদের মতে, অবসাদ ও ক্লান্তির মতো সাধারণ কিছু বিষয়ের সঙ্গেও ম্যাগনেশিয়ামের সংযোগ থাকতে পারে। জানলে অবাক হবেন পেশিতে টান ধরা থেকে শুরু করে ক্লান্তি, অবসাদসহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব হলে।
পেশিতে টান: রাতে ঘুমের মধ্যে পায়ের পেশিতে টান ধরার সমস্যায় অনেকেই যন্ত্রণায় কাতরান। আর এ সমস্যাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চান না অনেকেই। সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা না হলে পায়ের পেশিতে হঠাৎ করে টান লাগতে পারে।
তবে সে সমস্যা সাময়িক। চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন পেশিতে টান লাগার সমস্যা যদি নিয়মিত হয়, তা ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।
অবসাদ ও উদ্বেগ: সব সময় মন খারাপ থাকার লক্ষণ কিন্তু মোটেও ভালো নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সমস্যার নেপথ্যেও আছে ম্যাগনেশিয়াম। স্নায়ুর কর্মকা- সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হার্ভাডের একটি রিপোর্টেও একই কথা বলা হয়েছে।
অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন:রক্তে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে কারও হৃদ্স্পন্দনের হার বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় এই রোগ অ্যারিদমিয়া নামে পরিচিত।
ভঙ্গুর হাড়:হাড় ভালো রাখতে শুধু ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি নয়, বিভিন্ন গবেষণা বলছে হাড়ের যতেœ ম্যাগনেশিয়ামের গুরুত্বও অনেক। শরীরে পর্যাপ্ত ম্যাগনেশিয়াম না থাকলে অস্টিয়োপোরোসিসের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।
ক্লান্তি: পরিশ্রম করলে ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। তবে ঘুম থেকে ওঠার পরও যদি ঘুম পায় বা ক্লান্ত লাগে তাহলে কিন্তু এটি স্বাভাবিক লক্ষণ নয়। চিকিৎসকরা বলছেন, এই ক্লান্তির কারণও হতে পারে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি। সূত্র: হেলথলাইন