দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পশুর হাটে ভারতীয় গরুর আমদানি কম হওয়ায় দেশি গরুর চাহিদা বেড়ে গেছে। আর এ সুযোগে গরুর চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন খামারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ফলে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীরা গরু না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। ফুলবাড়ী উপজেলায় এবার ৪টি হাটে গরু কেনাবেচা চলছে। খামারিরা জানান, অন্যবারের চেয়ে এবার গরু পালতে বেশি খরচ হয়েছে। তা ছাড়া গরুর খাদ্যেরও দাম বেশি। এ জন্য এবার গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। একটি গরুর পেছনে বছরে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা খরচ হয়। তাই প্রতিটি গরু গড়ে ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে না পারলে পোষাবে না। অপরদিকে গরু ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, ভারতীয় গরু না আসায় এবার বেশি দামে গরু কিনতে হবে। গত বছর যে গরুর দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা এবার সে গরু ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার টাকায় কিনতে হবে বলে জানান তারা। গরু বিক্রেতা মোস্তাক আহম্মেদ সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, গত বছরের তুলনায় এবার হাটে দেশি গরু অনেক বেশি। গরু কিনতে আসা ক্রেতা আজগার আলী বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম ১০-১৫ হাজার টাকা করে বেশি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলার সবচেয়ে বড় কয়েকটি হাটে যেমন আমডুঙ্গীর হাট, মাদিলাহাট, বারাইহাট, পৌসভার পরিচালিত হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক তদারকি করার জন্য ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম রয়েছে যারা সার্বক্ষণিক রোগাক্রান্ত ও ক্ষতিকারক ওষুধে মোটাতাজাকরণ গরু চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। এ ছাড়া হাটে জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের তিনটি টিমও তৎপর রয়েছে। পৌরসভার পশু হাট ইজারাদার মোঃ হাসান মোল্লা বলেন, চড়া দামের কারণে ক্রেতারা প্রথম গরুর হাটের দিন গরু দেখেই ফিরে গেছেন। বাজারে ওইদিন প্রচুর গরু উঠলেও তেমন বেচাকেনা হয়নি। তবে ঈদ যতই কাছে আসাছে হাটে পুশু কেনা বেচা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, শুধুমাত্র সুষম গো-খাবার সরবরাহ এই অঞ্চলের গরু মোটাতাজাকরণ করার কারণে এখানকার কোরবানির পশুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এবার দিনাজপুর জেলায় ফুলবাড়ী উপজেলাসহ ১৩টি উপজেলায় মোট ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮০টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুুত রয়েছে।