গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বাটোয়ারা মামলার করায় কোর্টের নোটিশ পাওয়ার পর বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর নালিশী জমি জবর দখলের চেষ্টায় ক্ষেতের জমি মধ্যে বাশের খুটি গারার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার পৌর এলাকার গৃধারীপুর গ্রামে। এ ব্যাপারে পুনরায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে পৌর এলাকার মহেশপুর গ্রামের মানিক উল্যা মুন্সির ছেলে লিয়াকত আলী গংরা দীর্ঘদিন যাবৎ নালিশী জমি ভোগ দখল করে চাষাবাদ করে আসছিল। বিবাদী মহেশপুর গ্রামের হায়পত আলী ছেলে আঃ গফুরের আশরাফুল ইসলাম(৩২) বিভিন্ন সময় বাদীকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল যে তারা বাদী নিকট জমি পাবে। এসময় বাদী লিয়াকত আলীর বড় ভাই শওকত আলী দিং বাদী হয়ে ছায়েদ আলী দিং কে বিবাদী করে গাইবান্ধা সহকারী জজ আদালতে একটি অন্য ১২৩ নং বাটোয়ারা মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার নোটিশ পাওয়ার পর ছায়েদ আলী দিং এর পক্ষের আঃ গফুর এবং আশরাফুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার সকালে বাদীর ভাই লিয়াকত আলীর কলার জমিতে প্রবেশ করে বাশের খুটি গাড়ে। এসময় তারা বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধামকি দয়ে খুন জখমের ভয় দেখায় বলে বাদী জানান। তখন বাদী লিয়াকত আলী দিং এর লোকজন আইনের প্রতিশ্রদ্ধা রেখে এবং বিবাদীদের সাথে ঝগড়া বিবাদ না করে পলাশবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বাদী লিয়াকত আলী জানায় আমরা বাটোয়ারা মামলায় গৃধারীপুর মৌজায় সাবেক দাগ ৭৫০, ৭৭৯, ৭৮০, ৭৮২, ৭৮৩, মোট জমি ২.৫৪ শতক এর মধ্যে ১১ শতক দাবী করি। পক্ষান্তরে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে খুন জখমের ভয় দেখিয়ে নালিশী দাগের মধ্যে ০৯ শতক জমিতে শুক্রবার বাশের খুটি গাড়ে। বিবাদীগণ অত্যান্ত দুদান্ত প্রকৃতির এবং প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে আমরা মুখ খোলার সাহস পাইনা। তাই নালিশী জমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবদেন করা হয়েছে। উপরোক্ত বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত হলে বিবাদীগণের কুটকৌশল প্রমাণিত হবে বলে বাদী পক্ষ দাবী করেন।